• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

রংপুরে বিয়ে করে বিপাকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দম্পতি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরে ভালোবেসে বিয়ে করে বিপাকে পড়েছেন চন্দন-তিথি নামে এক নবদম্পতি। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এই দম্পতি এখন পুলিশি হয়রানি ও মামলার কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন প্রেমের পরই দুজন বিয়ে করেছেন। কিন্তু অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ তুলে হয়রানি করা হচ্ছে তাদের।

সোমবার বিকেলে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের বৈবাহিক সম্পর্ককে বৈধ দাবি করেন চন্দন কুমার রায় ও তার স্ত্রী তিথি রাণী রায়। তারা জানান, কেউ কাউকে অপহরণ করেননি বরং স্বজ্ঞানে-স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন।

চন্দন কুমার রায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল শিয়াল খোওয়া গ্রামের অনিল কুমার রায়ের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিথি রাণী রায় একই গ্রামের সুধীর চন্দ্র রায়ের মেয়ে। তিনি রংপুরে সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের দর্শন বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে অনার্স পড়ুয়া তিথি রাণী রায় বলেন, আমার স্বামী চন্দন কুমার রায়। আমাদের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমরা ১৯ সেপ্টেম্বর সরকারি বিধি মোতাবেক হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী রেজিস্টার ও এফিডেভিট করে বিয়ে করেছি। কেউ আমাদের প্ররোচিত বা অপহরণ করেনি। আমি আমার স্বামীকে পেয়ে খুবই খুশি। আমি এখন শ্বশুরবাড়িতে স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে সুখে সংসার করতে চাই। এজন্য আমার বাবা সুধীর চন্দ্র রায়সহ পরিবারের সবার কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি। আমার বিয়ে সংসার নিয়ে কেউ যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা বা বিবাদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।

তিথির স্বামী চন্দন কুমার রায় বলেন, আমরা দুজন একই গ্রামের বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই একে অপরকে চিনি। অনেক দিনের চেনাজানা, ভালো লাগা ও ভালোবাসার সম্পর্ককে চিরস্থায়ী করতে আমরা বিয়ে করেছি। কিন্তু এখন মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারে আমরা দুজন বিপাকে পড়েছি।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হয়রানি ও মামলা থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের কাছে সহায়তা চান এই নবদম্পতি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here