• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

রংপুরে নৌকা-লাঙ্গলে চাচা-ভাতিজার লড়াই

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

জেলা জুড়ে এখন তুমুল আলোচনা আওয়ামী লীগের মহাজোটে নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীকে চাচা-ভাতিজার ভোটযুদ্ধ। চাচা আসাদুজ্জামান সাবলু মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তারই ভাতিজা আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক নির্বাচন করছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে।

রংপুর-২ (বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ) আসনে একই বাড়িতে দুই দলের দুই প্রার্থী চাচা-ভাতিজা। আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী কাকে ভোট দেবেন তা নিয়ে যত আলোচনা। তবে চাচা বাবলু চৌধুরী বলছেন, ‘চাচা-ভাতিজা নয়, এই নির্বাচন আদর্শের লড়াই।’ সাবলু চৌধুরীর চাচাতো ভাই প্রয়াত আব্দুল মমিন চৌধুরীর ছেলে ডিউক চৌধুরী। তিনি এই আসনের বর্তমান এমপি।

এমপি ভাতিজার বিপক্ষে প্রার্থী হওয়া সম্পর্কে সাবলু চৌধুরী জানান, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে আমি দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করি। পরে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা প্রত্যাহারও করে নিই। ফলে ওই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ডিউক চৌধুরী।’
একসময় আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে থাকলেও ২০১৪ সালের নির্বাচনে ছাড় পেয়ে দখলে নেয় আওয়ামী লীগ। এবার মহাজোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে এই আসনটি এককভাবে পেতে জোর চেষ্টা করেছে জাতীয় পার্টি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ছাড় দেয়নি। শেষ পর্যন্ত লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী হন চাচা সাবলু। ভোটাররা জানান, এবারের নির্বাচনে রংপুর-২ আসনে চাচা-ভাতিজার মধ্যে জমজমাট ভোটের লড়াই হবে।

বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টুটুল চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বরাবর জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ নৌকার পক্ষে রায় দেবে বলে আশা করছি।’
জয়ের আশা করছেন বদরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হকও। তিনি বলেন, ‘রংপুরের মানুষ সব সময় জাতীয় পার্টিকে ভোট দিয়েছেন। আশা করি এবারও তারা জাতীয় পার্টিকে নির্বাচিত করবেন।’

এ আসনে এবারও আরও লড়ছেন বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আনিছুল রহমান মন্ডল (সিংহ), আশরাফ আলী (ইসলামী আন্দোলন-হাতপাখা), কুমারেশ চন্দ্র রায় (জাসদ-মশাল), হারুন অর রশিদ (বিকল্পধারা-কুলা), আশরাফ-উজ-জামান (জাকের পার্টি-গোলাপ ফুল), জিল্লুর রহমান (বিএনএফ-টেলিভিশন) ও ওয়াসিম আহমেদ (এনপিপি-আম)। এবার এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১২ হাজার ৭৬৬ জন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here