• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

রংপুরে ধর্ষণ মামলা না নেয়ায় ওসিকে প্রত্যাহার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরে ধর্ষণ মামলা না নেয়ার অভিযোগে হারাগাছ থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে ধর্ষক গৃহশিক্ষককে।সোমবার মামলার পর রাতে এই গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করার পাশাপাশি ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়। গ্রেফতার সোহেল রানা হারাগাছ পৌর এলাকার ঠাকুরদাস গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে ও পল্লীমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্যারা শিক্ষক। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মাহিগঞ্জ জোন) ফারুক আহমেদ।

তিনি জানান, এ ঘটনায় সোমবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে হারাগাছ থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযাগে মামলা দায়ের করেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোহেল রানাকে রংপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত ও থানায় মামলা গ্রহণে বিলম্ব করার অভিযোগে হারাগাছ থানার ওসি এ.কে.এম নাজমুল কাদেরকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া) আলতাফ হোসেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে কলেজছাত্রীকে অপহরণ করেন শিক্ষক সোহেল রানা। পরে ওই ছাত্রীকে উপজেলার সারাই ইউপি এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান তিনি। ছাত্রীর পরিবার বিষয়টি জানার পর হারাগাছ থানায় খবর দেয়। পুলিশ অভিযুক্ত সোহেল রানাকে আটক ও কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে হারাগাছ থানায় নেয়। ওইদিন রাত ৩টার দিকে পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে সমাধানের কথা বলে শিক্ষক ও কলেজছাত্রীকে থানা থেকে নিয়ে যান হারাগাছ পৌরসভার কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমানসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

পরে রোববার রাতে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে হারাগাছ ইউপি কার্যালয়ে চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান পলাশের সভাপতিত্বে প্রকাশ্যে বিচার বসানো হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার। এ সময় ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে যান। সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের ওপর চড়াও হন ইউপি চেয়ারম্যান। এ ধরনের ঘটনার বিচারের এখতিয়ার না থাকার কথা স্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান পলাশ। কিন্তু থানা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ও ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে পৌরসভা কাউন্সিলর মাহাবুবর বলেন, ওসি তার জিম্মায় দুইজনকে দিয়েছেন।
 
হারাগাছ থানার ওসি নাজমুল কাদের জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়। যেহেতু ঘটনাস্থল কাউনিয়া থানা এলাকায় তাই ওই ছাত্রীর অভিভাবককে কাউনিয়া থানায় গিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।

পরে ঘটনাটি হারাগাছ থানা এলাকায় হওয়ায় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারসহ থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here