• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

রংপুরে গ্রাম্য সালিশে জরিমানা দিয়ে রক্ষা পেল ধর্ষক!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের পীরগাছায় গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রাম্য সালিশে ধর্ষকের এক লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই ঘটনার জেরে ধর্ষিতাকে জোর করে তার স্বামীকে তালাক প্রদান ও স্বামীর ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার গভীর রাতে উপজেলার তাম্বুলপুর ইউপির শেখপাড়া গ্রামে সালিশি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তাম্বুলপুর ইউপির সোনারায় গ্রামের ওই মেয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া গ্রামের সামাদ আলীর ছেলে ফয়জার রহমানের ৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী জীবন জীবিকার তাগিদে ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করে আসছিল। এরই সুযোগে পার্শ্বের বাড়ির কালাম আলীর ছেলে সুমন মিয়া দীর্ঘদিন থেকে ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

রোববার রাতে সুযোগ বুঝে সুমন মিয়া গৃহবধূর শয়ন ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় লোকজন ধর্ষক সুমনকে হাতে-নাতে আটক করেন। এ ঘটনায় পরের দিন স্থানীয় মাতব্বররা গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করে। প্রকাশ্যে সালিশ বৈঠকের ১১ সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়। এতে বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুল হক। সালিশ বোর্ডে ধর্ষকের ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া ওই ধর্ষিতার স্বামী ও তার পরিবারকে বাঁচাতে জোর করে ধর্ষিতাকে তার স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করা হয়। একই সঙ্গে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় স্বামী ফয়জার রহমানকে। পরে গভীর রাতে সালিশ বোর্ডের সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

ওই সালিশ বোর্ডে মেয়ে পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত মাতব্বর আতোয়ার রহমান জানান, গ্রাম্য সালিশে যেসব সিন্ধান্ত হয়েছে তা মেনে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে মেয়েটাকে বাবার বাড়িতে রাখা হয়েছে। মেয়ের একটু দোষ থাকায় ধর্ষককে শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হযেছে।

সালিশি বোর্ডের সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সত্য। আমি ব্যস্ত থাকায় ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে সমাধানের দায়িত্ব দিয়ে এসেছি।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাদেক হোসেন জানান, সালিশি সভায় উভয়ে পারিবারিকভাবে মীমাংসা হয়েছে। আর তালাকের বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে স্বামীর ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পীরগাছা থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here