• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

রংপুরে কৃষিজমি থেকে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ মে ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুর নগরীর পরশুরামে ব্যক্তিমালিকাধীন কৃষিজমি দখলে নিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে আবাদি জমি নষ্ট হয়ে জলাশয় সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা। প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা পাইপ টেনে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মাসের পর মাস ড্রেজার মেশিন দিয়ে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বালু উত্তোলন করছে মহলটি। 

বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয়সহ রংপুর সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ ও বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

খোঁজ নিলে স্থানীয়রা জানান, নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পয়ধর মৌজার হারাটি গ্রামের কাইয়াগিলির দোলায় মৃত আবদুস সালামের ছেলে কামরুজ্জামান ফারুকের পৈতৃক জমি পার্শ্ববর্তী জলকর এলাকার শাহীন হোসেন তার দলবল নিয়ে নিয়ে রেখেছেন। সেখানকার ২৭০ শতাংশ জমি থেকে ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বালু উত্তোলন করছেন শাহীন ও তার লোকেরা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আবাদি জমি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাইয়াগিলির দোলার বিস্তীর্ণ ফসলি জমির মাঝখানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন শাহীন হোসেন। এতে ওই কৃষিজমির মাঝখানে জলাশয়ের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চাষাবাদও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে কৃষিজমির পাড়গুলোয়। এতে বালু উত্তোলনের পরিধি বাড়তে থাকায় জমি হারানোর আশঙ্কা করছেন ওই জমির ওয়ারিশসহ স্থানীয় কৃষকেরা।

জমির মালিকানা দাবিকারী কামরুজ্জামান ফারুক অভিযোগ করে বলেন, জলকর এলাকার ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত শাহীন হোসেন সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাদের পৈতৃক জমি থেকে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। সেই বালু কাইয়াগিলির দোলা থেকে বুড়িরহাট কোবারু রোডে নির্মাণাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছেন। অনেকবার নিষেধ করার পরও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। বরং শাহীন হোসেন প্রভাবে তার সাঙ্গপাঙ্গ ও মাস্তান বাহিনী দিয়ে ওই জমি দখলে নিয়ে এখন নিজের দাবি করে যাচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে সরকারি বিভিন্ন দফতরে লিখিত আবেদন করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না বলেও জানান তিনি।

একই এলাকার কৃষক আবদুল মান্নান, বন্দে আলী ও আতিয়ার রহমান বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন কৃষিজমি বিনষ্ট করে লোহার পাইপ আর মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে শাহীন হোসেন। সেই বালু মেডিকেল পূর্ব গেট এলাকার নাজমুল আহসান সরকার ওরফে নাজু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কিনছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে ডিসি, এসপি, মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি, লিখিত দরখাস্তও দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। বরং আমাদেরও প্রভাবশালী শাহীন ও তার লোকেরা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এ নিয়ে মুঠোফোনে শাহীন হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, প্রয়োজন হলে সরেজমিনে অভিযোগ তদন্ত করে দেখেন। আমি বাইরে, গাড়িতে আছি। পরে কথা বলব। এ সময় তিনি বালু উত্তোলনের বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর (৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড) বিলকিস বেগম বলেন, কৃষিজমি থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি এর আগেও জেনেছি। কিন্তু ওই জমির মালিক কে বা কারা, তা আমার জানা নেই। আমাকে স্থানীয়রা অভিযোগ দিয়েছেন। একই অভিযোগ বিভিন্ন অফিসেও দিয়েছে। ঈদের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা বসব।

Place your advertisement here
Place your advertisement here