• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

রংপুরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের বদরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদ আলী খানের বিরুদ্ধে কলেজের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে কলেজের অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি। এ ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 
অডিট কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ১০ বছরে কলেজ অধ্যক্ষ ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তবে ২০১২ সালে গঠিত বাংলা অনার্স এবং হিসাব বিজ্ঞান অনার্স শাখার অডিট সম্পন্ন হয়নি। 

কারণ হিসেবে অডিট কমিটির সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, বাংলার বিভাগের প্রধান মকবুল হোসেন খান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মোস্তফা কামালের অসহযোগিতা এবং অনীহার কারণে ওই অডিট সম্পন্ন হয়নি। শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক ও পাস কোর্সভুক্ত তহবিলের হিসাব-নিকাশ উপস্থাপন করা হয়েছে। আর এতেই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের ঘটনা বেরিয়ে এসেছে। 

প্রতিবেদনে আয়ের খাতে বলা হয়েছে, বদরগঞ্জের দুটি ব্যাংকে কলেজের সংরক্ষিত তহবিলে রয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। ছাত্রদের বেতন রশিদ ও রশিদ ছাড়াই আদায় করা হয়েছে দু’ কোটি ৬২ লাখ ২১ হাজার ৪৭০ টাকা। আদায়কৃত টাকার রশিদ আছে অথচ আদায় রেজিস্টারে জমা হয়নি এমন টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯২০ টাকা, অনুদানমূলক চাঁদা আদায় ২২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, অনুমোদনহীন গাছ বিক্রি বাবদ ৩ লাখ টাকা, আংশিক পুকুর লিজ বাবদ ৪ লাখ টাকা, জমি লিজ বাবদ ২ লাখ টাকা, চারটি খাত থেকে ঋণ প্রাপ্তি ৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দেয়া তথ্য মতে প্রারম্ভিক স্থিতি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪০০ টাকা। অডিট রিপোর্টে সর্বমোট ৩ কোটি ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৭৯০ টাকা আয় দেখানো হয়েছে।

রিপোর্টে ব্যয়ের হিসেবে বলা হয়েছে, কলেজের সংরক্ষিত তহবিলে রয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, পরীক্ষা পরিচালনা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ লাখ ৬৬ হাজার ১৩৫ টাকা, যাতায়াত ও আপ্যায়নসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩ লাখ চার হাজার ৫৫৭ টাকা, শিক্ষাবোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচ দেখানো হয়েছে ৬৪ লাখ ৬২ হাজার ৩১৯ টাকা, শিক্ষক-কর্মচারীদের ৩৫ মাসের বেতন বোনাস ও বাড়িভাড়া বাবদ ব্যয় দেখানো হয়েছে ৪৩ লাখ ৯৬ হাজার ১৭৩ টাকা, দ্বিতল ভবন,  সীমানা প্রাচীর ও গ্যারেজ নির্মাণে ব্যয় দেখানো হয়েছে ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫৪ টাকা, বৈদ্যুতিক লাইন ও ট্রান্সফরমার কেনায় ব্যয় দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯২৯ টাকা, ঋণ পরিশোধ হিসেবে দেখানো হয়েছে সাত লাখ ১৬ হাজার টাকা, একটি ব্যাংকে সমাপনী স্থিতি অর্থের পরিমাণ ৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৮৪ টাকা। এ নিয়ে মোট ব্যয় দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৫৯লাখ ৯৮ হাজার ৫১ টাকা। এতে অধ্যক্ষ মাজেদ খানের দায় দেখানো হয়েছে ৪৬ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৯ টাকা। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টের আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চ সাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) অধ্যক্ষ মাজেদ খানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। 

কমিটির সদস্যরা হলেন-বেগম রোকেয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর চিন্ময় বাড়ৈ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক উমর ফারুক এবং সহকারী পরিচালক আনোয়ার পারভেজ। 

গত ২১ সেপ্টেম্বর মাউশির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়েছে পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্য দিবসের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন মহাপরিচালক বরাবর প্রেরণ করতে হবে। 

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুরে বদরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদ আলী খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাংলার শিক্ষক দিয়ে অডিট করলে হবে। যারা অডিট করছে তারা কিছুই জানে না। সরকারি কলেজের টাকা আত্মসাতের প্রশ্নই উঠে না।

Place your advertisement here
Place your advertisement here