• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

রংপুর মেডিকেলে টাকা ছাড়া মিলছেনা সেবা ও বেড

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা পাবার। কিন্তু উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলছে বিভিন্ন অনিয়মসহ সীমাহীন দুর্নীতি। এখানে চিকিৎসা সেবার নামে মানুষকে জিম্মি করে দুর্নীতি-অনিয়ম ও রোগীর স্বজনদের নিকট অর্থ নিয়ে বেড প্রদানের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের চিকিৎসক কর্মকর্তা ও নার্সসহ কর্মরত আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এক হাজার বেডের উত্তরাঞ্চলের এক মাত্র সর্ববৃহৎ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি হলেও এখানে রোগী থাকে দুই থেকে আড়াই হাজার। এখানে প্রতিদিনেই রংপুর বিভাগের ৮ জেলা থেকে উন্নত চিকিৎসা নিতে আসেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু হয় নানান হয়রানি।

প্রথমে জরুরী বিভাগে ভর্তি হবার সময় সেখানে কমপক্ষে ৫০ টাকা অতিরিক্ত নেয়া হয়। এরপর জরুরী বিভাগ থেকে মুমুর্ষ রোগীদের ষ্ট্রেচারে ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে দালালদের দিতে হয় এক থেকে দেড়শ টাকা। এরপর ওয়ার্ডে যাবার পর প্রথমে বেড পাওয়া মানে সোনার হরিণ পাওয়া। মেঝেতে জায়গা পেতে দিতে হয় টাকা, তারপর মিলে বিছানা। শুধু তাই নয় কম্বলসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ নিতে টাকা দিতে হয়। এরপর যে ২/১ টা ঔষধ সরবরাহ করা হয় তার জন্যও দিতে হয় টাকা। সব ধরনের পরীক্ষা কোন ভাবেই হাসপাতালে করা হয়না। রোগীদের বেশীর ভাগ টেষ্ট করাতে হয় নগরীর বিভিন্ন ডায়গনষ্টিক সেন্টার থেকে।

সেখানে ওয়ার্ডের নার্স আয়া আর দালালদের দৌরাত্ম বলে দেয়া হয় নিদৃষ্ট তাদের ডায়গনষ্টিক সেন্টারের কথা। বিনিময়ে কমিশন পান তারা। এরপর চিকিৎসা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টাকা ছাড়া কোন কাজই হয়না বলে অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের। ভুক্তভোগীরা জানায়, সরকারি এই হাসপাতালে প্রথমে টাকা ছাড়া বেড মেলেনা, তার উপর আবার দালালদের দালালদের দৌরাত্ম তো আছেই। তাদের কাছে প্রতিনিয়তই হয়রানীতে পড়তে হচ্ছে দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের। পুলিশ প্রশাসন ও হাসপাতালের কতৃপক্ষ কোন ভাবেই দমন করতে পাচ্ছেন না দালালদের। বলতে গেলে দালালদের হাতে জিম্মী হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

সার্বিক বিষয়ে জানতে হাসপাতালের পরিচালক ডা, শাহাদৎ হোসেনের সাথে কথা বলার জন্য তার চেম্বারে গেলে তিনি হাসপাতালের অনিয়ম দুনীতির কথা স্বীকার করে বলেন, এই অভিযোগগুলোর সুষ্পস্ট তথ্য থাকলে একটা একটা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, একবারে যে কোন অভিযোগ নাই তা আমি বলবো না। তবে প্রমাণ পেলে আমি তাদের বিরুদ্ধে একশন নেই।

Place your advertisement here
Place your advertisement here