• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রিকশাচালকের ছেলে নিক্কনের

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রিকশাচালকের ছেলে নিক্কন রায়ের। মেধাকে যে কোনোভাবে দমিয়ে রাখা যায় না তা আবারও প্রমাণ করেছে অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী নিক্কন রায়।

হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান নিক্কন চলতি বছর রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু অর্থাভাবে তার মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। এ নিয়ে চরম দুশ্চিতায় পড়েছে নিক্কন ও তার অভাবী পরিবার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনাজপুর সদরের সুন্দরবন ইউনিয়নের সুন্দরবন গ্রামের শ্রী খনিজ চন্দ্র রায় ও শ্রীমতি মমতা রানী দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে ছোট নিক্কন রায়। নিক্কনের বাবা শ্রী খনিজ চন্দ্র রায় পেশায় একজন রিকশা চালক। মা শ্রীমতি মমতা রানী গৃহিণী। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান মেধাবী নিক্কন রায় ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় ভীষণ আগ্রহী। প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর অধ্যাবসাইয়ের মাধ্যমে সে বাড়ির পাশের আত্রাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পাস করে। পরবর্তী সময়ে দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়।

এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় সে। কিন্তু অদম্য মেধাবী নিক্কন রায় মেডিকেলে ভর্তি সুযোগ পেয়েও এখন চরম হতাশায় পড়েছে। কারণ মেডিকেল কলেজে ভর্তির হওয়ার মতো অর্থ তার পরিবারের নেই। তার বাবা রিকশা চালিয়ে প্রতিদিন যে আয় করেন তা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের তিন বেলা খাবার জোটে না। তারপরও তিনি নিক্কনকে স্কুল-কলেজের লেখাপড়া করিয়ে এতদূর পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন।

নিক্কনের বাবা খনিজ চন্দ্র রায় বলেন, ছেলেটাকে ঠিকভাবে লেখাপড়ার খরচ দিতে পারিনি। তারপরও সে নিজের ইচ্ছা শক্তিতে ও কঠিন পরিশ্রম করে লেখাপড়া অব্যাহত রেখেছে। এখন ছেলে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতেতো অনেক টাকা-পয়সা লাগবে। এত টাকা তিনি কিভাবে জোগাড় করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না।

তিনি জানান, তার এমন কোনো সহায় সম্পদও নেই যেটা বিক্রি করে ছেলেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করবো। তাছাড়া ছেলেকে মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করাতেও প্রতি মাসে মোটা অংকের খরচ লাগবে। সেই খরচই বা কিভাবে যোগাবো?

তাই তিনি ছেলের মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও লেখাপড়া চালিয়ে নিতে সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তশালীদের সহায়তা চেয়েছেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here