• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

‘মিড ডে মিল’ কার্যক্রমের আওতায় ৬৫ হাজার ৬২০ প্রাথমিক বিদ্যালয়

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

আগামী বছর থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসের ফাঁকে খাবার পাবে শিক্ষার্থীরা। ‘মিড ডে মিল’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৬৫ হাজারেরও বেশি বিদ্যালয়ে এ খাবার বিতরণ করবে সরকার। এর আওতায়  সপ্তাহে তিন দিন রান্না করা খাবার এবং অপর তিন দিন শুকনো খাবার দেয়া হবে। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে মিড ডে মিল কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। এজন্য ১৯ হাজার ২৭২ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বরাবর জমা দেয়া হয়েছে। 

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় মিড ডে মিল কার্যক্রমটি গুরুত্বের সঙ্গে চালু করা হচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণেও কাজ করবে সরকার। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে মিড ডে মিল চালু করা হবে। 

এদিকে স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় একশ’ চারটি উপজেলায় বিস্কুট পাচ্ছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও চাল, ডাল ও ভোজ্য তেল পাচ্ছে ১৬ উপজেলার শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় মিড ডে মিল প্রকল্পের আওতায় এ কাজটি করছে সরকার। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, এ বছরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ বছর আমরা জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছি। এজন্য এ বছরেই সব আয়োজন সম্পন্ন করে আগামী বছর থেকে মিড ডে মিল চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, রান্নাকরা খাবার ও উচ্চ পুষ্টিমানসমৃদ্ধ বিস্কুট দেশের ১৬ উপজেলার ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর মাঝে পরিবেশন করা হচ্ছিল। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় এখন আমরা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি। কার্যক্রমটি যেভাবে এগোচ্ছে আশা করছি, আগামী বছর থেকে এটি দারুণ সাড়া ফেলবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯ এর আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চালু হবে।

স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি ২০১০ সালে স্বল্প পরিসরে চালু করা হয়। বর্তমানে ১০৪ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রকল্পটি চালু রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে মিড ডে মিল বা দুপুরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। এই পাইলট প্রকল্প ফলপ্রসূ হওয়ার পর জাতীয় মিড ডে মিল নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়। 

এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ফসিউল্লাহ্ বলেন, দেশ হিসেবে আমরা ধীরে ধীরে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রাথমিকে শিশুদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে মিড ডে মিল ভালো ভূমিকা পালন করবে। আগামী বছর এর পরিসর বড় হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে মিড ডে মিলের খাবার পৌঁছে দেয়া হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here