• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

মিঠাপুকুরে সাপের উৎপাতে অতিষ্ট এলাকাবাসী, দু`জনের মৃত্যু

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের মিঠাপুকুরের রানীপুকুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর গ্রামে সাপের উৎপাতে অতিষ্ট এলাকাবাসী, গত এক সপ্তাহে সাপের কামড়ে একই গ্রামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সাপের কামড়ের শিকার হয়েছেন আশপাশের কয়েকটি গ্রামের আরও ১৩ জন।

স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত শনিবার থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সাপে কামড়ে রানীপুকুর ইউনিয়নে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সাপে কামড়ে আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন।গত শুক্রবার সকালে বিষাক্ত সাপের ছোবলে একটি ছাগলও মারা গেছে। এরপর থেকেই বন্যার মধ্যে সাপ আতঙ্কে দিন কাটছে আশেপাশের দশ গ্রামের মানুষের।

রানীপুকুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর দোলাপাড়া গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে সালাউদ্দিন (১৮) রোববার সকালে পাটক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে সাপের কামড়ে আক্রান্ত হন। সেই দিন রাতেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার তিনদিন পার না হতেই একই গ্রামে আলম মিয়ার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে রানা মিয়া রাতে ঘুমাতে গিয়ে নিজ ঘরে সাপের কামড়ের শিকার হয়। আক্রান্ত রানাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ভ্যাকসিনের অভাবে তারও মৃত্যু হয়।

এদিকে গত সাতদিনে ভক্তিপুর দোলাপাড়াসহ খাপুর, চূহড়, গাচুয়াটারী গ্রামে তাজনগর,বিশ্বনাথ খাপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে অন্তত ১৩ জন সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন।

এদের মধ্যে দোলাপাড়া গ্রামে লোকমান (৩৫), মৃত রানা মিয়ার বাবা আলম মিয়া (৩৮), আব্দুর রউফ (৫২), জয়নাল আবেদীন (৬০), শফিকুল ইসলাম (২৫), বকুল মিয়া (৬০), চূহড় গ্রামের জিন্নাহ্ আলী (৫২), বিশ্বনাথ খাপুর গ্রামের রাশেদা বেগমের (৪০) নাম জানা গেছে।

আহতরা ইতিমধ্যে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বিভিন্ন কবিরাজের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সব গ্রামে এখন সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

খাপুর গ্রামের আতোয়ার রহমান বলেন,হঠাৎ করে গ্রামে ছোট বিষাক্ত কালো সাপের উপদ্রব বাড়ছে। গত সাতদিনে আশপাশের গ্রামের অন্তত ১৫ জন সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন। গরু-ছাগলও নিরাপদ নয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার সকালে দোলাপাড়া গ্রামে সাপের কামড়ে একটা ছাগল মারা গেছে।

ভক্তিপুর দোলাপাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক গোলজার হোসেন বলেন, সাপের আতঙ্কে গ্রামের মানুষ বাসা ছেড়ে বাইরে থাকছে। সাপের ছোবলে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকে আক্রান্ত হয়েছে।হাসপাতালে সাপের কামড়ের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন নেই,এ কারণে গ্রামের মানুষের মনের মধ্যে ভয় কাজ করছে।

সাপের কামড়ে মৃত্যু হওয়া রানা মিয়ার মা রানু বেগম ও বাবা আলম মিয়া বলেন,হাসপাতালে সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ নেই। ভ্যাকসিনের অভাবে আমাদের ছেলের অকাল মৃত্যু হয়েছে।

ভক্তিপুর আবাসন গ্রামের নূরনাহার বেগম বলেন,গত বছর সাপের কামড়ে এই গ্রামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একটা গরুও সাপের কামড়ে মারা যায়। এ বছর আবারও সাপের উপদ্রব শুরু হয়েছে।এক সপ্তাহের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ বিপদের সময় চেয়ারম্যান, মেম্বার কেউ আমাদের পাশে নেই।আমরা এখন ভীষণ আতঙ্কে আছি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here