• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

মিঠাপুকুরে মৎস্যজীবীদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের মিঠাপুকুরে বিল লিজ নেওয়াকে কেন্দ্র করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা করেছেন মৎস্যজীবীরা। এঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের অভিযোগ, সমাজভিত্তিক ভূমিহীন ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সংস্থাটি প্রকৃত মৎস্যজীবী সমিতি নয়। এছাড়া শাখা কার্যালয় খুলে তারা অবৈধভাবে নিলামে অংশ গ্রহণ করেছে। স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কোনঠাঁসা করার চেষ্টা করছেন তারা। 

ইতোমধ্যে লাভলু মিয়া নামের একজন মৎস্যজীবীকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করেছেন ওই সংগঠনের লোকজন। তিনি মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মৎস্যজীবীরা।

জানা যায়, উপজেলার বড় হযরতপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটিড-এর মাধ্যমে ১৯৭৪ সাল থেকে উপজেলার সেরুডাঙ্গা বিল লিজ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন মৎস্যজীবীরা। চলতি অর্থবছরে বিলটির নিলামে অংশ নেয় সংগঠনটি। অপরদিকে সমাজভিত্তিক ভূমিহীন ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী উন্নয়ন সংস্থা সেরুডাঙ্গা শাখাও অংশ নেয় নিলামে।

সেরুডাঙ্গা বিলে গিয়ে দেখা গেছে, বিলপাড়ের প্রায় ৫০০ মৎস্যজীবীর বসবাস সেখানে। তারা সবাই ওই বিলের ওপর নির্ভরশীল। জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন বিলটি।

বিলপাড়ের মৎস্যজীবী সত্য চন্দ্র দাশ বলেন, আমরা ১৯৭৪ সাল থেকে বিলটি লিজ নিয়ে মৎস্য চাষ করে বেঁচে আছি। স্থানীয় একটি অমৎস্যজীবী প্রভাবশালী চক্র বিলটি অবৈধভাবে দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করলে আমাদের ওপর হামলা ও মামলা চাপিয়ে দিচ্ছে তারা। রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) এর প্রতিবাদে বিলপাড়ে বসবাসকারী মৎস্যজীবীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভার আয়োজন করে। এতে ৩০০ মৎস্যজীবী অংশগ্রহণ করেন।

বড় হযরতপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি'র সভাপতি খিতিশ চন্দ্র দাশ বলেন, 'আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবী। এই বিলের ওপর নির্ভর করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করি। প্রভাবশালীরা আমাদের কোনঠাঁসা করার চেষ্টা করছেন। আরেক মৎস্যজীবী আরতি রাণী দাশ বলেন, বিলে মৎস্য আহরণ করতে না পারলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।

উপজেলা মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা সুধির চন্দ্র জীবন বলেন, বড় হযরতপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড একটি প্রকৃত মৎস্যজীবী সংগঠন। অপরদিকে সমাজভিত্তিক ভূমিহীন ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সংস্থাটি বেশিরভাগ সদস্য মৎস্যজীবী নয়। তারা অবৈধভাবে নিলামে অংশ নিয়ে বিলটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, 'প্রকৃত মৎস্যজীবী ও বিলপাড়ের বাসিন্দারাই বিলটি অগ্রাধিকারভিত্তিতে পাওয়ার যোগ্য, যাদের জীবন-জীবিকা বিলের ‌ওপরই নির্ভরশীল।

রংপুর জেলা প্রশাসক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ইউএনও ও উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মৎস্যজীবীরা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here