• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

মিজানের পাশে সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তির অনিশ্চয়তায় থাকা লালমনিরহাটের মেধাবী মিজানুর রহমানের পাশে দাঁড়িয়েছেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় মিজানুর রহমানের ভর্তির অনিশ্চয়তা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তার পাশে দাঁড়ান লালমনিরহাটের সন্তান আতাউর রহমান প্রধান।

মিজানুরের ভর্তির যাবতীয় খরচ বহনসহ তার জন্য মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ‘একজন অসচ্ছল ছাত্রকে ডাক্তারি পড়ায় সার্বিক সহযোগিতা দেয়া আমার কর্তব্য। সেই বোধ থেকে আমি তার পাশে দাঁড়িয়েছি।’

মিজানুর রহমান বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান স্যার আমার মোবাইলে ফোন করে জানান তিনি আমার ভর্তি থেকে শুরু করে পাঁচবছর মেডিকেলে পড়াশোনার সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি দায়িত্ব নেয়ায় আমি এখন ডাক্তারি পড়তে পারব। যারা আমাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন তাদের ধন্যবাদ।’

এর আগে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন উপজেলার চর কুলাঘাটে মিজানুরের বাড়িতে গিয়ে ১০ হাজার টাকার একটি চেক তুলে দেন।

জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চর কুলাঘাট গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান। ধরলা নদী তীরবর্তী ইউনিয়নে মিজানুরই একমাত্র শিক্ষার্থী যিনি এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। অথচ অর্থাভাবে সেই সুযোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

মিজানুর গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চর কুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও লালমনিরহাট সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন।

মিজানুরকে নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী গর্ববোধ করলেও তাদের মাঝে বিরাজ করে অনিশ্চয়তার ছায়া। মিজান শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে কিনা এমন চিন্তায় পড়ে পুরো পরিবার।

২০১২ সালে মারা যান মিজানুরের বাবা মফিজ উদ্দিন। তখন সে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছয় সন্তানকে নিয়ে চরম অর্থাভাবে পড়েন মা জোবেদা বেগম। জায়গাজমি বলতে কিছুই নেই। মাত্র ৮ শতক জমির ওপর বসতঘর।

এ অবস্থায় মেধাবী মিজানুরের পাশে দাঁড়ান সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান ও লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here