• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

মানবপাচারকারীদের ধরতে অভিযান: ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

সারা দেশে মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে মোট ১২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার পরই আসামিদের ধরতে সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে সিআইডি, র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ। লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় এরই মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। এর মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একক মামলা রয়েছে পল্টন, বনানী ও কিশোরগঞ্জের ভৈরবেসহ মোট চারটি। 

বিদেশে পলাতক আসামিদের ধরতে মামলার চার্জশিট দ্রুত সম্পন্ন করে রেড নোটিস জারির প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিআইডি। পাচারকারী সিন্ডিকেটের অন্তত পাঁচজন লিবিয়া, মিসর ও দুবাইতে অবস্থান করছে বলে সংস্থাটির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তাদের সিন্ডিকেটের সদস্য একই ব্যক্তি ঘুরে-ফিরে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে লিবিয়ায় গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে পাচার করেছে। এ দিকে পাচারের শিকার এক ভুক্তভোগীর বাবার  পল্টন থানায় করা মামলার তদন্ত শুরু করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  

সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ এ প্রতিবেদককে জানান, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে সেগুলোর চার্জশিট দ্রুত দেওয়া হবে। আর পলাতকদের ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করা হবে। এর কয়েকটি প্রক্রিয়া আছে, এগুলো তারা শুরু করেছেন। মানবপাচারকারীরা মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি। মোস্ট ওয়ান্টেড আসামিদের রেড নোটিসের ফলে সে দেশের পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।  গেল ২৮ মে অবৈধপথে ইতালি পাঠানোর সময় লিবিয়ার মিজদাহ শহরে মানব পাচারকারীরা গুলি করে হত্যা করে ৩০ জনকে, যেখানে ছিলেন ২৬ বাংলাদেশি। 

এ ঘটনায় স্থানীয় দালালদের ধরতে তৎপর হয় দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। সারা দেশে বিভিন্ন থানায় এ ঘটনায় ১২টি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের ভৈরব, সিলেট, বরগুনা ও গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৫ জনকে সিআইডি এবং র‌্যাব গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে লিবিয়া ট্র্যাজেডিতে জড়িত মানবপাচারকারী চক্রের ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মানবপাচার এবং সন্ত্রাসবাদ দমন আইনে করা মামলার তদন্ত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) করবে বলে জানানো হয়েছে। 

গতকাল দুপুর ১২টায় ডিবির (উত্তর) উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান এ তথ্য জানান।  গত ৪ জুন রাতে ১৬ জনের নামে পল্টন থানায় মামলা করেন লিবিয়ায় ভুক্তভোগী যুবক রাকিবের বাবা মান্নান মুন্সী। তার বাড়ি শরীয়তপুরে। গত সাত মাস আগে দুই দফায় মোট সাত লাখ টাকায় দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় গিয়ে আটকা পড়েন রাকিব। একই সময় পল্টন থানায় ৩৬ জনের বিরুদ্ধে এবং বনানী থানায় ৩৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে। এর আগে গত ২ জুন পল্টন থানায় ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছিল সংস্থাটির হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভাইস স্কোয়াড। 

গত ৪ জুন রাতে সিআইডির পল্টন থানার মামলার আসামিরা হলেন রুজভেল্ট ট্রাভেলস এজেন্সির পরিচালক আকবর হোসেন, মাদারীপুর রাজৈরের নূর হোসেন শেখ, একই এলাকার রবি, রাসেল মীর, জুলহাস শেখ, ইলিয়াছ মীর মেম্বার, কিশোরগঞ্জ ভৈরবের জাফর, একই এলাকার শাওন, গোপালগঞ্জ মোকসুদপুরের রব মোড়ল, কুষ্টিয়া মিরপুরের হাজী কামাল, ফরিদপুরের বক্কর সরদার, একই এলাকার মিসরে অবস্থানরত আবদুর রহমান তৌহিদ, কাজী শরীফ, নোয়াখালীর মিসরে অবস্থানরত কাজী ইসমাইল হোসেন, কুষ্টিয়ার দুবাইয়ে অবস্থানরত সাদ্দাম হোসাইন, কুমিল্লার সনাতন দাশ ওরফে দাদা, একই এলাকার শরীফ হোসেন, নূরজাহান আক্তার, আবদুস সাত্তার, লিবিয়ার বেনগাজীতে অবস্থানরত আবদুল্লাহ, মাদারীপুর সদরের নজরুল, একই এলাকার রাজন ওরফে বুলেট, মোমিন, শরীয়তপুরের রফিকুল ইসলাম, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর রুবেল মির্জা, নাসির উদ্দিন মির্জা, রিপন মির্জা, মাদারীপুরের কালকিনির মিরাজ হাওলাদার, মাদারীপুরের শিবচরের সোহেল পাজারী, হারুন, জাকির মিয়া, নড়াইলের কালিয়ার মোক্তার মোল্লা, রাজধানীর মগবাজার সোনালীবাগের সানজিদা এবং ওয়ারলেস রেলগেটের খালিদ চৌধুরীসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জন।  বনানী থানার মামলার আসামিরা হলেন-বেঙ্গল টাইগার ওভারসিস লিমিটেডের মালিক, মাদারীপুর রাজৈরের জুলহাস শেখ, একই এলাকার নূর হোসেন শেখ, রবি, ইলিয়াছ মীর মেম্বার, ভৈরবের জাফর, শাওন, গোপালগঞ্জের রব মোড়ল, কুষ্টিয়ার হাজী কামাল, ফরিদপুরের বক্কর সরদার, রুজভেল্ট ট্রাভেলস এজেন্সির পরিচালক আকবর হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ার রফিকুল ইসলাম সেলিম, হোসাইন, ফরিদপুরের মিসরে অবস্থানরত আবদুর রহমান তৌহিদ, নোয়াখালীর মিসরে অবস্থানরত কাজী শরীফ ও কাজী ইসমাইল হোসেন, কুষ্টিয়ার দুবাই অবস্থানরত সাদ্দাম হোসাইন, কুমিল্লার সনাতন দাশ ওরফে দাদা, লিবিয়ার বেগগাজীতে অবস্থানরত আবদুল্লাহ, মাদারীপুরের নজরুল, শরীয়তপুরের রফিকুল ইসলাম, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর রুবেল মির্জা, নাসির উদ্দিন মির্জা, রিপন মির্জা, মাদারীপুরের রাসেল মীর, রাজন ওরফে বুলেট, কুমিল্লার শরীফ হোসেন, মাদারীপুরের সোহেল পাজারী, হারুন, জাকির মিয়া এবং নড়াইলের মোক্তার মোল্লাসহ অজ্ঞাত ৬০/৬৫ জন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here