• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

মরিচের ফলন ভালো, দামে শঙ্কায় কৃষক

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ মে ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ধান, গম, ভুট্টা ও বাদামের মতো দিন দিন মরিচের ব্যাপক চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল ও অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা মরিচ চাষে ঝুঁকছেন। চলতি বছর জেলায় স্থানীয় জাতের মরিচ ছাড়াও উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের মরিচের ব্যাপক চাষ হয়েছে। তবে মরিচের দাম কম হওয়ায় কৃষকরা শঙ্কিত। 

জেলার ৫ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা খেত পরিচর্যা ও মরিচ তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫ উপজেলায় চলতি বছর ১২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে দেশীয় জাতসহ বাঁশ গাইয়া, জিরা, মল্লিকা, বিন্দু, হটমাস্টারসহ বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের মরিচের ব্যাপক চাষ হয়েছে। তবে সবেচেয়ে বেশি মরিচ চাষ হয়েছে আটোয়ারী উপজেলায়। বিগত বছরে মরিচে অ্যানথ্রাক্সনোজ (স্থানীয় ভাষায় টেপাপচা) রোগে মরিচ নষ্ট হলেও চলতি বছরে এই রোগটি দেখা না যাওয়ার মরিচের ফলন ভাল হয়েছে। 

কৃষকরা জানান, গত বছরেরে চেয়ে এ বছর মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর মণ প্রতি ৫ হাজারের বেশি দরে মরিচ বিক্রি করতে পারলেও এ বছর ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। করোনাকালীন বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ী না আসার কারণে তাদের মরিচের দাম কম। তবে এ বছর মরিচের ভাল দাম পেলে কৃষকরা বিগত বছরের লোকসান পুষিয়ে লাভবান হতে পারবেন বলে আশাবাদী।

জানা যায়, পঞ্চগড়ের মরিচ আকার, বর্ণ ও স্বাদের কারণে চাহিদা বেশি। তাই প্রতি বছর এ জেলার উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন জেলার কৃষকরা মরিচ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। অনেকের মরিচ চাষে ভাগ্য বদলে গেছে।

এ বিষয়ে কথা হয় পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার কৃষক বশিরুল আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর মরিচের ফলন ভাল পেয়েছি। রোগ-জীবাণু তেমন না ধরলেও ঝড়ের কারণে মরিচ গাছের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে দাম যদি গতবারের মতো ভাল পাই, তবে লোকসান পুষিয়ে নিতে পারব। 

একই কথা জানান জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি এলাকার কৃষক হবিবর রহমান। তিনি বলেন, মরিচের দাম গত বছরের চেয়ে কিছুটা কম। তাই এ দামে মরিচ বিক্রি করলে আমাদের লাভ কম হবে। লকডাউনে বাইরে থেকে ব্যবসায়ী না আসায় দাম কম। 

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর মরিচে তেমন রোগ না হাওয়ায় কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছে। তবে হঠাৎ করে তেঁতুলিয়া উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় ঝড়ের কারণে মরিচের কিছু ক্ষতি হলেও বাকি এলাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কর্মীরা নিয়মিত তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, মরিচ তোলার সময় শুরু হয়েছে। মরিচ বিক্রির বিষয়ে আমরা কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা করব। কৃষকরা যেন দাম ভালো পায় এবং বাইরে থেকে যেন ব্যবসায়ী আসতে পারেন তার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here