• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ভোট গ্রহণের আদর্শ মাধ্যম হতে পারে ইভিএম

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

বিশ্লেষকরা মনে করছেন ইভিএমের সঠিক ব্যাবহার নিশ্চিত করতে পারলে ইভিএমই হতে পারে ভোট গ্রহণের আদর্শ মাধ্যম। কারণ, নতুন ইভিএমে ভোটগ্রহণের আগে মেশিন চালু হবে না। মেশিন চালু করার বিষয়টি পাসওয়ার্ডের ওপর নির্ভর করবে। এটি ভোটের আগে কারও জানার সুযোগ থাকবে না। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে এটি চালু করার কোনও সুযোগ থাকবে না। এতে প্রচলিত কাগুজে ব্যালটের মতো ভোটের আগের রাতে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করার সুযোগ থাকবে না।

দ্বিতীয়ত, ইভিএম মেশিন চালু করার পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত থাকবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোবাইল ফোনে ভোট শুরুর আগে এসএমএস এর মাধ্যমে ওই পাসওয়ার্ড পৌঁছে যাবে। ফলে ওই অনুমোদিত ব্যক্তির বাইরে কেউ এটি চালু করতে পারবেন না। তবে, এক্ষেত্রে প্রথম ব্যক্তি কোনও দৈবদুর্বিপাকে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারলে দ্বিতীয় নির্ধারিত ব্যক্তির মোবাইল ফোনে পাসওয়ার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে।

তৃতীয়ত, ভোটের সময় ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ভোটার শনাক্ত করা হবে। কোনও ভোটারের ফিঙ্গার প্রিন্ট মিললেই তার ভোটটি আনলক হবে এবং সেটি প্রদান করা যাবে। ফলে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। এমনকি মেশিন ছিনতাই করে নিয়ে গেলেও ভোট দেওয়া যাবে না। এছাড়াও কোনও ভোটার ভোট দিতে যাওয়ার পর তার ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ছবিসহ বেশ কিছু তথ্য মেশিনের স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। একইসঙ্গে মেশিনের সঙ্গে যুক্ত থাকা মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় এই তথ্যগুলো দেখা যাবে। এতে পোলিং এজেন্টরা ভোটারকে সহজে চিহ্নিত করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে যদি কোন কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে সেই কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কন্ট্রোল ইউনিটের ক্লোজ সুইচটি চেপে দিলেই দখলকারীরা কোনো ভোট দিতে পারবে না। তাছাড়া ইভিএমের স্মার্ট কার্ড সরিয়ে ফেললেও মেশিনটি চালু করা যাবে না। আবার প্রতি মিনিটে ৫টার বেশি ভোট দেয়া যাবে না।

চুতুর্থত, একটি মেশিন দিয়ে চার-পাঁচটি জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব। চাইলে এটা ইউনিয়ন পরিষদ,উপজেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা উপ নির্বাচনেও কাজে লাগানো যাবে। সেক্ষেত্রে শুধু মেশিনটিতে নতুন করে প্রোগ্রাম প্রবেশ করাতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো ভোটারের ভোট বাতিল হবে না। ভোটের তথ্য মেশিনে প্রায় ১০ বছর ধরে অবিকৃত অবস্থায় থাকবে। এবং খুবই কম সময়ে ভোট গণনার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব।

পঞ্চমত, ইভিএম ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো একটি সাধারণ ব্যালটের নির্বাচনের তুলনায় ইভিএম পদ্ধতিতে ব্যয় অনেক কম। যেমন ইভিএম ব্যবহারের ফলে কোটি কোটি সংখ্যক ব্যালট ছাপানোর খরচ, কাগজের খরচ, এগুলো পরিবহনের খরচ, ভোট গণনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকবলের খরচ সবই সাশ্রয় হবে। নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী একটি জাতীয় নির্বাচনে এক হাজার ৮৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু ইভিএম পদ্ধতিতে একটি জাতীয় নির্বাচনে খরচ হবে মাত্র নয়শ কোটি টাকা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here