• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ভারতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াল সেলুনকর্মীরা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

ওরা মানসিক প্রতিবন্ধী, বোঝে না নিজের ভাল। নেই ঠিকানা, এলোমেলো চেহারা, মাথায় ঝাঁকরা চুল, এলোমেলো দাড়ি। শরীরে দুর্গন্ধ। কেউ বা ভবঘুরে, কোনো রকমে এদিক-সেদিক হাত পেতে পেট চালায় নিজেদের।

রাস্তায় বের হলে এমন অসহায় মানুষেরা অহরহ চোখে পড়ে। কিন্তু সাহায্যের জন্য এগিয়ে যান না কেউই। এমনই অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিল ভারতের বর্ধমান জেলার সেলুনকর্মীরা।

সময় পেলেই নরসুন্দররা সেলুন বন্ধ করে সাইকেলে টুল, আয়না, কাঁচি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন শহরের আনাচে কানাচে। অসহায়দের খুঁজে বের করে কেটে দিচ্ছেন চুল, দাড়ি, নখ। কেউ ফোন করে খোঁজ দিলেও সেই ঠিকানায় চলে যাচ্ছেন তারা। তাদের এই মহান উদ্যোগের প্রশংসা করছেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার দুপুরে বর্ধমান জেলা নরসুন্দর এবং সেলুনকর্মী সমাজকল্যাণ সোসাইটির সদস্যরা বর্ধমান শহরের রেল স্টেশন, পৌরসভা, কোর্ট-সহ জনবহুল এলাকায় পৌঁছে যান। সেখানের ঘোরাফেরা করা ভবঘুরেদের চুল-দাড়ি কেটে দেন। এমনকী প্রয়োজনে সাবান-শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করিয়ে দেন।

সংগঠনের সম্পাদক বিধান প্রামাণিক বলেন, আমরা দেখেছি এই মানুষদের কোনো পরিচয় না থাকায় এদের সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসে না। ফলে বহু সময় ধরে চুল, দাড়ি না কাটার ফলে তাদের মাথায় ও চামড়ায় নানা রোগ দেখা দিতে থাকে। যা অনেক ক্ষেত্রে মারাত্মক আকার ধারণ করে। তাই আমরা সংগঠনের তরফে এই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেউ খোঁজ দিলেই আমরা চুল কেটে দিয়ে আসছি।

তিনি জানান, তাদের সংগঠনে জেলার অনেক নরসুন্দর রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই এভাবে সমাজ সেবার কাজ করে যাচ্ছেন। যেখানে তারা এই ক্যাম্প চালাচ্ছেন সেখানে নিজেদের ফোন নম্বরও দিয়ে আসছেন। মূলত প্রতি মাসের শেষ বৃহস্পতিবার  তারা এই কাজ চালাচ্ছেন। সেই সঙ্গে যখনই সময় পাচ্ছেন তখনই বেরিয়ে পরছেন।

বর্ধমান শহরের বাসিন্দা দেবব্রত দাস বলেন, এটি খুবই ভাল উদ্যোগ। এমনই ভাবনা খুবই নতুন। সত্যি ওই মানুষ গুলোর কথা কেউ ভাবে না। খুবই প্রশংসনীয় কাজ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here