• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বেরোবিতে বিধি লংঘন করে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সিনিয়র শিক্ষককে বাদ দিয়ে বিধি লংঘন করে জুনিয়র শিক্ষককে রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়ায় শিক্ষকদের মাঝে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার নিয়োগ বঞ্চিত সিনিয়র শিক্ষক ড. বিজন মোহন চাকী বিধি লংঘন করে রসায়ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়ায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং ইউজিসি বরাবর লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

লিখিত প্রতিবাদে তিনি বলেন,  রসায়ন বিভাগে নিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষকের মধ্যে আমি প্রথম। বর্তমানে এই বিভাগে মোট এগার (১১ জন) শিক্ষক কর্মরত, যার মধ্যে দুইজন সহযোগী অধ্যাপক, ছয়জন সহকারী অধ্যাপক ও তিনজন প্রভাষক রয়েছেন। জাতীয় সংসদে পাশকৃত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন মোতাবেক কোন বিভাগে অধ্যাপক কর্মরত না থাকলে সহযোগী অধ্যাপকগণের মধ্যে থেকে সিনিয়রিটির ক্রমানুসারে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। বর্তমানে এই বিভাগে ( প্রথম সিনিয়র) সহযোগী অধ্যাপক
এইচ এম তারিকুল ইসলাম গত ১৩জুন  বিভাগীয় প্রধান হিসেবে মেয়াদ পূর্ণ করেন।

জাতীয় সংসদে পাশকৃত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন মোতাবেক ( দ্বিতীয় সিনিয়র) সহযোগী অধ্যাপক হওয়ায় পরবর্তী বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়া কথা । কিন্তু গত ১৬জুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জাতীয় সংসদে পাশকৃত বিধি লংঘন করে  রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া তোফাজকে রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই অনৈতিক এবং দূর্নীতিআশ্রিত বিধি লংঘনের বিষয়ে আমি  ক্ষুব্ধ ও মর্যাদাহানিকর বোধ করছি। প্রশাসনের এইরকম কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার সাথে পুরোপুরি বেমানান ও শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বিনষ্টকারী হওয়ায় উপর্যুক্ত বিষয়ে অতিদ্রুত প্রতিকার ও সংশোধন দাবী করছি। 

এছাড়াও ড.বিজন মোহন চাকী বলেন, আমি সব সময় বর্তমান প্রশাসনের দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি এই জন্য আমাকে নিয়োগ না দিয়ে উপাচার্যের আস্থাভাজন ব্যক্তিকে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দিয়েছেন। আমি ইউজিসি বরাবর এই নিয়োগের বিরুদ্ধে লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবরও প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছি। আমি এটির সুষ্ঠু প্রতিকার চাই।

অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগে তিন বছরের জন্য বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়ার আইন ও রীতি থাকলেও উপাচার্য গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান নিয়োগে নিয়ম ভঙ্গ করে দুই বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করেন। এ ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নারীর প্রতি অবিচার উল্লেখ করে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এমনকি আগেও আইন লঙ্ঘন করে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে বিধি লংঘন করে  বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু কালাম মো: ফরিদ উল ইসলাম বলেন, এই অনিয়মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ বিধি বা আইন মোতাবেক  প্রদানের আহবানও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ  ও রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালকে একাধিকবার তাদের মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তারা কেউ ফোন রিসিভ করেনি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here