• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। সারাদিন রিমঝিম বৃষ্টি। এই সময় আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের এক নেয়ামত এবং রহমত। নবী করিম (সা.) বৃষ্টির পানি গায়ে লাগাতেন। তিনি তার উম্মতদেরকেও বৃষ্টির পানি গায়ে লাগানোর জন্য অনুমতি দিয়েছেন।

হাদিসে আছে, নবী করিম (সা.) বৃষ্টিতে একবার বের হয়েছিলেন এবং শরীরে পানি লাগিয়ে ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কেন তিনি এমনটি করেছেন? তখন তিনি বললেন, বৃষ্টিকে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বরকত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সুতরাং বৃষ্টির পানি শরীরে লাগানোর জন্য বৃষ্টির মধ্যে নেমে যাওয়ার দরকার নেই। যদি ঠাণ্ডা লাগার ভয় থাকে। অন্তত দুই এক ফোঁটা পানি শরীরে লাগালে পূর্ণ হয়ে যাবে।

বর্ষাকালে যখনই বৃষ্টি হবে আমরা যেন নবী করিম (সা.) এর সুন্নত থেকে বঞ্চিত না হই। অন্তত দুই এক ফোঁটা পানি হাতে নিয়ে শরীরে লাগানোর চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ! নবী করিম (সা.) এর সুন্নত পালন হয়ে যাবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত রহমতের বৃষ্টির আমলটিও হয়ে যাবে। বৃষ্টির সময় যে বিশেষ দোয়া আল্লাহ তায়ালা কখনোই ফিরিয়ে দেন না। সুতরাং বৃষ্টি বা অতিবৃষ্টিকে ভয় না পেয়ে প্রত্যেক মুসলিমের উচিত এই দোয়া পড়া।

চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়। দোয়াটি হলো-

اللهم شيبان نافع

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ছায়্যিবান নাফিয়া। 

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! এমন বৃষ্টি আমাদের ওপর বর্ষণ করুন যাতে ঢল, ধস বা আজাবের মতো কোনো অমঙ্গল নিহিত নেই।’ (বুখারি : ১০৩২)। 

যখনই বৃষ্টি শুরু হয় তখনই দোয়া করা উচিত। কারণ বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে দোয়া কবুল হয়। এই সময় দোয়া করাও সুন্নত। বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ আবু দাউদ শরিফের ২৫৪০ নম্বর হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, দুই সময়ের দোয়া কখনো ফেরত দেয়া হয় না। কিংবা তিনি এভাবে বলেছেন যে, দু’টি সময় রয়েছে, যখন দোয়া করলে তা খুব কমই ফেরত দেয়া হয়- 

(এক) আজানের সময় যে দোয়া করা হয়। 

(দুই) বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে যে দোয়া করা হয়।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, রণাঙ্গণে শত্রুর মুখোমুখি হওয়া কালের দোয়া। (আবু দাউদ: ২৫৪০)।

সুতরাং একজন খাঁটি মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত যখনই বৃষ্টি নামবে তখন কোনো প্রকারের হা-হুতাশ না করে দোয়া করা। আশা করা যায় মহান আল্লাহ এই দোয়া কবুল করবেন।

এছাড়া রাসূল (সা.) বৃষ্টির পানিকে খুব পছন্দ করতেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা একবার রাসূলের (সা.) সঙ্গে থাকাকালে বৃষ্টি নামল। তখন তিনি পরিধেয় প্রসারিত করলেন, যাতে পানি তার শরীর স্পর্শ করে। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কেন এমন করলেন? রাসূল (সা.) বললেন, কারণ এটা তার রবের কাছ থেকে মাত্রই এসেছে। (মুসলিম: ৮৯৮)।

বৃষ্টির সময় আল্লাহর কাছে নিজের জন্য দোয়া করব এবং অবশ্যই আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করবেন। আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি দোয়া করার তাওফিক দান করুক। আমিন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here