• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

বিএনপির অধিকাংশরাই যেন এখন ঘুমন্ত

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় ‘ঢাউস’ কমিটি। অথচ কর্মকাণ্ডে নেই তার ছিটেফোঁটা প্রতিফলন। হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বিএনপির অধিকাংশরাই যেন এখন ঘুমন্ত। এভাবে চললে আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বিএনপি যাদুঘরের রাজনৈতিক দলে পরিণত হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

তাদের ভাষ্য, দল টিকে থাকে সাংগঠনিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে। কিন্তু বিএনপির বেলায় তা সিকিভাগও পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায়, দলটির অনাগত ভবিষ্যৎ ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত।

নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও পরবর্তী জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে ‘মাথা ব্যথা’ নেই বিএনপির। উল্টো দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অসুস্থ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে এবং করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবসহ নানা খোঁড়া যুক্তি দেখাচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

তারা বলছেন, এই মুহূর্তে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নেয়াটা কঠিন। তারপরও চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তারেক রহমানের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেলেই তারা কাজ শুরু করে দেবেন।

কাউন্সিল না করায় দলেরই ক্ষতি হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা বলছেন, এ কারণে যে দল কতটা পিছিয়ে পড়ছে, জন-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে তা কারও ধারণাতেও নেই। এমনকি এ নিয়ে তেমন কোন আলোচনাও হয় না বলতে গেলে। যদি কখনো কেউ মিটিংয়ে এ নিয়ে কথা তোলেন, সেটির প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে অন্যদিকে মোড় দেয়া হয়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, কাউন্সিল না হওয়ার ফলে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না। বিগত দিনের ত্যাগী ও যোগ্যদেরও যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে না। তাই অবিলম্বে কাউন্সিল হওয়া উচিত। তাহলে অন্তত আর কিছু না হোক, ঘুমন্ত অবস্থাটা কেটে গিয়ে দলে একটা গতি আসবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, নানা অজুহাতে বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীই এখন দলীয় রাজনীতি থেকে দূরে। ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবার-পরিজন নিয়ে। আবার কেউ কেউ তারেকের স্বৈরতন্ত্রে অতিষ্ঠ হয়ে নিষ্ক্রিয় বা গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। এমনকি বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি নিয়মিত ভার্চুয়াল বৈঠক করলেও বাস্তবে রাখতে পারছে না তেমন কোন কার্যকর ভূমিকা। 

তিনি বলেন, ১৯ সদস্যের এ কমিটির পাঁচটি পদ শূন্য। শারীরিক অসুস্থতাসহ নানা কারণে চারজন সব সময়ই থাকেন অনুপস্থিত। সবমিলিয়ে বিরাজ করছে, হ-য-ব-র-ল একটা অবস্থা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here