• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

বানিজ্য শেষ বিএনপি`রঃ মনোনয়ন বঞ্চিতদের ধরাছোঁয়ার বাইরে তারেক

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি'র মনোনয়ন বানিজ্য আপাতত শেষ বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। ফলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন বানিজ্যের সাথে তারেক রহমানসহ কতিপয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ জড়িত থাকায় ক্ষোভে ফেঁসে উঠেছে দেশব্যাপী বিএনপি'র মনোনয়ন বঞ্চিত নেতৃবৃন্দ এবং তাদের অনুসারিগণ।

কৌশলগত কারণে একই আসনে একাধিক প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। প্রায় প্রতি আসনেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে বিরাট অংকের অার্থিক অনুদান বা উৎকোচ প্রদান কারীর সংখ্যা এক বা একাধিক ছিল বলে নিশ্চিত সূত্রে জানা যায়। পরবর্তীতে, চূড়ান্ত মনোয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বেশী অংকের টাকা প্রদানকারী ব্যক্তি বা ক্ষেত্র বিশেষে অন্যান্য সিনিয়র নেতার আস্হাভাজন অথবা দলীয়ভাবে ত্যাগী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ ধানের শীষের প্রতীক প্রাপ্ত হয়েছেন। ফলে তারেককে টাকা প্রদানকারী অনেক নেতৃবৃন্দ চুড়ান্ত মনোনয়ন না পেয়ে নয়াপল্টনের দলীয় অফিসসহ চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে অনুসারী নিয়ে বিক্ষোভ করে।

এমনকি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে। মনোনয়ন যুদ্ধে পরাস্ত এরূপ শতাধিক নেতা তারেক রহমানের সাথে প্রাথমিকভাবে যোগাযোগ করে এরূপ ঘটনার প্রতিকার চান।  এর প্রেক্ষিতে তারেক রহমান সংক্ষুদ্ধ অনেককেই সান্ত্বনা প্রদান করে অচিরেই প্রদানকৃত টাকা ফেরত দিবেন মর্মে আশ্বস্ত করেন এবং ভোট যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে অনুরোধ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মনোনয়ন বঞ্চিত অনেকেই পরবর্তীতে তারেকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এমন অবস্থায় অনেক নেতা তার অনুসারীদের মনোয়ন বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি বুঝাতে পারছেন না। ফলে তাদের ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।

এ বিষয়ে  কুমিল্লার একটি আসন থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, 'তারেক ভাইয়াকে কয়েক কোটি টাকা প্রদান করেও আমার কপালে মনোনয়ন জুটেনি। যিনি ভাইয়াকে বেশী খুশি করেছেন তিনিই ধানের শীষ পেয়েছেন। এক্ষেত্রে কে ত্যাগী নেতা বা জামায়াত-শিবির তা বাচ-বিচার করা হয়নি৷ আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীতার ক্ষেত্রে মনোনয়ন বানিজ্য আপাতত শেষ বলেই মনে হচ্ছে। এখন ভাইয়াকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছেনা। নেতা-কর্মীদের কাছে কোন জবাব দিতে পারছিনা।'

 এ বিষয়ে আরও একাধিক মনোনয়ন বঞ্চিত ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের মধ্যে তীব্র হতাশা বিরাজ করছে। বার বার তারেক রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হচ্ছেনা। বিষয়টি নিয়ে দেশব্যপী তৃণমূলে হতাশা বিরাজ করছে। এমনকি অনেকেই দল থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়বেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট মাহফুজ উল্লাহ বলেন, 'বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা-কর্মীসহ দলের সকলের শেষ আশা-ভরসার স্হান হলো দলের শীর্ষ পদধারী ব্যক্তি। কেউ সংক্ষুদ্ধ হলে দলের শীর্ষনেতার  সাথে যোগাযোগ করে প্রতিকার চাইতেই পারেন।' কিন্তু এক্ষেত্রে নেতা-কর্মীদের এড়িয়ে যাওয়া মানেই উক্ত বানিজ্যে তার (তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে) জড়িত হওয়ার কোন না কোন সম্ভাবনা থাকা বলে যোগ করেন তিনি। তবে, বিষয়টি কোনমতেই দলের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবেনা বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here