• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বই পড়া ও জ্ঞানার্জন সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

চলছে মহান ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারি। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও সুপরিচিত। আর এ পুরো মাসজুড়েই চলে একুশে গ্রন্থমেলা। 
সারাবছর এ মেলার জন্য বইপিপাসুরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। 
বইমেলার পরিধি আগে অনেক ছোট ছিল; এখন তা বিশাল আকার ধারণ করেছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও যুক্ত হয়েছে। 

শুরুর দিকে এ মেলার ব্যাপ্তি ছিল ১৪ দিন। পরে ২১ দিন করলেও এখন মেলা চলে গোটা মাসজুড়ে। এত বড় পরিসরে মেলার আয়োজন দেখে বোঝা যায় আমরা কতটা অগ্রসর হয়েছি। দিনকে দিন বইমেলার প্রসার ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছে। আয়োজনের পরিধি, সাজসজ্জা ক্রমেই বাড়ছে।

বই পড়া ও জ্ঞানার্জন সম্পর্কে ইসলাম যা বলে

আমাদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে সর্বপ্রথম আল্লাহ প্রদত্ত পাঠানো ওহি হচ্ছে, ‘ইকরা’ অর্থাৎ পড়ুন। মহান প্রতিপালক রবের নামে পড়ার তাগিদ দেয়ার মাধ্যমে মহাগ্রন্থ আল-কোরআন নাজিলের সূচনা। 

পড়ার মাধ্যমে মানুষ জ্ঞানার্জন করে। এমনকি ইসলাম সম্পর্কে, শরীয়তের মাসয়ালা-মাসায়েল জানার জন্যও জ্ঞানার্জনের বিকল্প নেই। সূরা মুহাম্মাদের ১৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, 

فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مُتَقَلَّبَكُمْ وَمَثْوَاكُمْ

‘জেনে রাখুন, আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। ক্ষমাপ্রার্থনা করুন, আপনার ক্রটির জন্যে এবং মুমিন পুরুষ ও নারীদের জন্যে। আল্লাহ, তোমাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞাত।’ (সূরা: মুহাম্মাদ, আয়াত: ১৯)। এখানে ‘জেনে নাও’ মানে হচ্ছে- জ্ঞানার্জন করো।

আরো পড়ুন>>> সূরা বাকারা: ২৩৮-২৫৪ নম্বর আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট ও অর্থ (পর্ব-১১)

অন্যত্র মহান আল্লাহ আরো ইরশাদ করেন, 

أَمَّنْ هُوَ قَانِتٌ آنَاء اللَّيْلِ سَاجِدًا وَقَائِمًا يَحْذَرُ الْآخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُوْلُوا الْأَلْبَابِ

‘যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশংকা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না; বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।’ (সূরা: যুমার, আয়াত: ৯)।

এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো জোর দিয়ে বলেছেন, ‘জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর ওপর ফরজ।’ (বায়হাকি শরিফ :১৬১৪)।

যে ব্যক্তি মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করে সে জ্ঞানী হয়, তার দ্বারাই আল্লাহর অজস্র নেয়ামত অনুধাবন করা সম্ভব। এর মাধ্যমে আপনাতেই তার মাথা নুইয়ে আসে। মহান আল্লাহকে সে বেশি ভালোবাসতে শেখে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here