প্রযুক্তির এ যুগে জনস্বার্থেই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট- কাদের

বিএনপি নেতারা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অন্ধবিরোধিতা করছে উল্লেখ করে সড়ক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রযুক্তির এ যুগে জনস্বার্থেই এ আইন করা হয়েছে। আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি এখন এ আইন নিয়ে মানবাধিকারের কথা বলছে অথচ ৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতির পিতার খুনিদের বিচার চাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির এক নেতা দেশে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর যে ইঙ্গিতপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে, তাতে দেশবাসী বিক্ষুব্ধ। এ বক্তব্যে বিএনপির ফ্যাসিবাদী মানসিকতা, ষড়যন্ত্র এবং খুনের রাজনীতির চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও বিএনপির পক্ষ থেকে এর কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য দেয়া হয়নি। তাহলে কি ধরে নেব এটি বিএনপির দলীয় বক্তব্য? জনগণ আশা করে, বিএনপি এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করবে।

১৫ ও ২১ আগস্ট একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা- এ কথা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতার এ বক্তব্যে তাদের খুনের রাজনীতির স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। এ বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় বিএনপি এখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে। এ ষড়যন্ত্রের জাল দেশ-বিদেশে বিস্তৃত, তাদের বক্তব্য লন্ডনের ছক অনুযায়ী গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে এ বক্তব্য প্রত্যাহারে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। আশা করছি, কেন্দ্রীয় বিএনপি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবে।

‘জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন হবে’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির এমন হুমকি-ধামকি আমরা বছরের পর বছর শুনেছি। এরই মধ্যে তাদের আন্দোলন ও সরকার পতনের ঘোষণার একযুগ পূর্তি হয়ে গেছে। জনগণ রাজপথে এখনো কোনো আন্দোলন দেখতে পায়নি।