• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

প্রতি মাসেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা দেবে সরকার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

তিন মাস পরপর নয় আগামী মাস থেকে প্রতি মাসেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা সরাসরি ব্যাংক হিসাবে দেবে সরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানিমুক্তভাবে ভাতা পাওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

এরইমধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের সব জীবিত ও মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ উত্তরাধিকারীদের তথ্য 'ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস)' অন্তর্ভুক্ত করেছে।

এতদিন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিটি জেলার ডিসির কাছে ভাতার টাকা পাঠাতেন। এরপর ডিসিদের কাছ থেকে তা ইউএনওর কাছে পৌঁছানো হতো। ইউএনও তার উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাংক হিসাবে সেই সম্মানীর টাকা জমা দিতেন। এর ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নেতাদের মাধ্যমে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা হয়রানিতে পড়তেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এখন গভর্নমেন্ট টু পার্সন (জিটুপি) ভিত্তিতে সম্মানী ভাতার টাকা মুক্তিযোদ্ধার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সারাদেশের প্রায় এক লাখ ৯২ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে মাসিক ভাতা পাঠানো হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ১২ হাজার টাকা ভাতা দেয় সরকার। এছাড়া বছরে দুটি উৎসব বোনাস দেয়া হয় ১০ হাজার টাকা করে। জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় দিবসে ৫ হাজার টাকার সম্মানী পান। বৈশাখী ভাতা হিসেবে দেয়া হয় ২ হাজার টাকা। এখন থেকে সব সুবিধাই সরাসরি ব্যাংক হিসাবে জমা করা হবে। ভাতার টাকা জমা হওয়ার পর তা মুক্তিযোদ্ধার মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে জানিয়ে দেয়া হবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে জীবিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ। ৯২ হাজার মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীদের (বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই, বোন) এই ভাতা দেয়া হয়। এতদিন উত্তরাধিকারী একাধিক ব্যক্তি হলেও একজনের অ্যাকাউন্টে টাকা দেয়া হতো। এখন থেকে যে কয়জন উত্তরাধিকারী আছেন, তাদের প্রত্যেকের আলাদা অ্যাকাউন্টে প্রাপ্য অনুযায়ী ভাতা দেবে সরকার।

এছাড়া সব মুক্তিযোদ্ধা এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রে যে নাম রয়েছে সেই নামে ভাতা পাবেন। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৩৩ ধরনের নথিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম রয়েছে। দেখা গেছে, একজন মুক্তিযোদ্ধার একেক নথিতে একেক ধরনের নাম। এজন্য ঠিক করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের নথিতে যে নামই থাকুক এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের নামে মুক্তিযোদ্ধার নাম, ঠিকানা ও জন্মতারিখ বিবেচনা করা হবে। কোনো মুক্তিযোদ্ধার জন্মতারিখসহ অন্যান্য তথ্য সংশোধনের দরকার হলে তা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে করতে হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here