• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

পীরগাছায় জনপ্রিয় হচ্ছে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের পীরগাছায় পতিত জলাবদ্ধতা এলাকায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ভাসমান বেড পদ্ধতিতে সবজি চাষ। স্বল্প খরচে অধিক লাভের কারণে এই পদ্ধতিতে সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কচুরিপানা পঁচিয়ে বেড তৈরি করে এর ওপর নানা জাতের সবজি চাষ করছে কৃষক।

সবজির ঘাটতি পূরণ এবং বিকল্প উপায়ে ভালো ফলন পাওয়ায় অনেকেই এ পদ্ধতিতে চাষে এগিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণসহ কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। 

উপজেলার তাম্বুলপুর ইউপির শেখপাড়া এলাকায় বুড়াইল নদীসংলগ্ন জলাবদ্ধতা এলাকা দীর্ঘদিন থেকে পতিত অবস্থায় ছিলো। কচুরিপানায় ভরপুর ছিল জলাবদ্ধতা এলাকাটি। সম্প্রতি উপজেলা কৃষি অধিদফতরের সহযোগিতায় ওই ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খয়বার হোসেন ভাসমান সবজি চাষে স্থানীয় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন। পাশাপাশি কারিগরি সহায়তাও দেয়া হয়। ভাসমান বেডে সবজি চাষে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয় না। তাছাড়া কোনো কীটনাশকও দিতে হয় না। ফলে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই এলাকার ৪০ কৃষক ভাসমান বেড তৈরি করে তার উপর চাষ করছে পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়া, লাল শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ঢেঁড়শ, বরবটি, লাউ ও সিম। এতে দেখা গেছে, মাস খানেকের মধ্যেই সবজি বাজারজাতের উপযোগী হয়ে পড়ে। যা একদিকে তাদের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছে অন্যদিকে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছে। এসব এলাকায় ভাসমান বেডে সবজি চাষ নতুন বলে কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আগ্রহ বাড়ছে।

স্থানীয় কৃষক আশরাফুল আলম জানান, এবারই জলাবদ্ধতা এলাকায় কয়েকটি ভাসমান বেড তৈরি করে নানা জাতের সবজির চাষ করা হয়েছে। আগামীতে জলাবদ্ধতা এলাকায় আরো বেশি বেড তৈরি করে সবজি চাষ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। বাজারে এই বেডের সবজির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খয়বার হোসেন বলেন, একই বেডে এক সবজি তোলার পর অন্য সবজি চাষ করা যায়। বেডে উৎপাদিত সবজি সম্পূর্ণ বিষমুক্ত। তাছাড়া খরচও তুলনামূলক কম। ফলে কৃষক বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন।

উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান, ভাসমান বেডে সবজি চাষে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার লাগে না। ফলে সবজির গুণগত মান ও স্বাদ অক্ষুণ্ন থাকে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান জানান, ভাসমান বেডে সবজি চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ইউপিতেও ছড়িয়ে দেয়া হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here