• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

পীরগাছায় উপসর্গহীন করোনা রোগীর সঙ্গে বাড়ছে উদ্বেগ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের পীরগাছায় করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত তিন ব্যক্তির মধ্যে দুজনের কোনো উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়নি। একজনের সামান্য উপসর্গ ছিল সাধারণ জ্বর সর্দি। এতে সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

আক্রান্তদের মধ্যে দুই জন পুরুষ ও অন্যজন নারী। গত এক সপ্তাহে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা পজেটিভ আসে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে পীরগাছা থানায় কর্মরত এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও এক নারীর তেমন উপসর্গ ছিল না। পরে এক যুবক (২৫) সামান্য জ্বর সর্দি নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। নমুনা পরীক্ষায় তারও করোনা পজেটিভ আসে। বর্তমানে তিন জনই সুস্থ আছেন। এদের মধ্যে উপপরিদর্শককে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বাকি দুজন নিজ বাড়িতে রয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত ওই নারী বাড়িতে ছিলেন। তার বাড়িতে পরিবারের লোকজন ছাড়া অন্য কেউ যাতায়াত করেননি। উপ-পরিদর্শকও এক বছর ধরে এই থানায় কর্মরত। কীভাবে এই দুজনের শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ আসলো সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, কেননা কারোরই তেমন কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। এদিকে সামান্য উপসর্গ নিয়ে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন আক্রান্ত ওই যুবক। পরদিন তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে পীরগাছার পাওটানা শাখায় ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি পাশের মিঠাপুকুর উপজেলায়। তিনি পীরগাছায় ভাড়া বাসায় পরিবারসহ থাকেন। তবে তিনি মাঝে মাঝেই মিঠাপুকুর যাতায়াত করতেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নারী বলেন, আমার গলায় সামান্য ব্যথা অনুভব হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ওষুধ নেই। এ সময় চিকিৎসক আমার নমুনা সংগ্রহ করে। ওষুধ খাওয়ার একদিন পর থেকে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। এখন শুনছি আমার করোনা হয়েছে।

আক্রান্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) জানান, তিনি সামান্য জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। ডাক্তার তাকে জ্বরের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেয় এবং নমুনা সংগ্রহ করেন। তার শরীরে এখন কোনো সমস্যা নেই।

আক্রান্ত যুবক (২৫) জানান, জ্বর সর্দি নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে ভর্তি হই। একদিন পর নমুনা দেওয়ার পর সুস্থবোধ করায় বাসায় চলে আসি। চার দিন পর জানতে পারি আমি করোনায় আক্রান্ত।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাহিদ জামান বলেন, এ ধরনের আক্রান্ত ব্যক্তিরা  স্বাভাবিক কাজকর্ম সব করতে পারেন। অস্বস্তিবোধ না হওয়ায় সহজে করোনা পজেটিভ মানতে চান না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সানোয়ার হোসেন বলেন, উপসর্গহীন রোগীরা বেশী ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের দ্বারা সংক্রমণের ঝুঁকি বহুমাত্রায় বেড়ে যায়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here