• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

পীরগঞ্জ পৌর পাঠাগারটি অর্ধ যুগ ধরে বন্ধ- নষ্ট হচ্ছে হাজারও বই

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জ্ঞান অর্জনের পৌর পাঠাগারটি অর্ধ যুগ ধরে বন্ধ। নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার বই। তথ্য বিবরণীতে জানা যায় আগে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২ টা এবং বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পাঠাগার খোলা রাখা হত। সন্ধা হলেই পাঠাগারে ভীড় জমাত বই প্রেমীরা।

নাটক, গল্প, কবিতা, বিভিন্ন গুনিজনের জীবনী রাজনৈতিক বইগুলির প্রতি পাঠকদের আকর্ষণ ছিল বেশি। অনেক স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা আসতো সেখানে। পীরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি এ এইচ লিটন বলেন, পাঠাগারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে বই পড়ার অভ্যাসটাই নষ্ট হয়ে গেছে। বই পড়ার মত কোন পাঠাগারও নেই, পরিবেশও নেই এ উপজেলায়।

পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল হক বলেন, অনেক অনুরোধ করে পাঠাগারটি চালু করা হলেও কেন জানি বন্ধ হয়ে গেল। শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান ও সহকারি অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আগের মত বই পড়ার দিন এখন আর নেই। এক সময় পাঠাগারটি জম জমাট ছিল। সেখান থেকে বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করা হতো। পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, শহরের পাবলিক ক্লাব চত্বরে ১৯৮৬ সালে উপজেলা পরিষদের তত্ববধানে এ পাঠাগার স্থাপন করা হয়। তৎকালিন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আবুল হাসনাত মোজাফ্ফর করিম পাঠাগারটির উদ্বোধন করেন।

১৯৮৯ সাল পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের তত্বাবধানে চলে পাঠাগারটি। পৌরসভা স্থাপিত হলে পাঠাগারটি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আকতারুল ইসলাম নামে একজনকে সহকারি লাইব্রেরিয়ান হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০০৬ সালে তার মৃত্যুর পর বন্ধ হয়ে যায় পাঠাগারের দরজা। এখন পাঠাগারের দরজা-জানালা, আসবাব পত্র, আলমিরা ঘুনে ধরছে, নষ্ট হচ্ছে বই পুস্তক।

এর পর পাঠচক্র নামে একটি সংগঠন পৌর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে মাঝখানে পাঠাগারটি আবারো চালু করার ব্যবস্থা করেন। সংস্কার কাজও করা হয়। পৌরসভার কর্তৃপক্ষ একজন কর্মচারীকে প্রেষণে দায়িত্ব দেওয়া হয় ঐ পাঠাগারের তত্ববধায়নের জন্য। কিন্তু তা বেশি দিন টিকেনি। কর্মচারি সংকট অজুহাতে কয়েক মাসের মধ্যে তাকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্রত্যাহার করে পৌরসভায় নিযুক্ত করে। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় পাঠাগারের দরজায়। ফলে প্রায় অর্ধ যুগ ধরে বন্ধ রয়েছে জ্ঞান অর্জনের এ পাঠাগারটি। পৌর মেয়র কশিরুল আলম বলেন, পাঠাগারটি পরিচালনা করার মত কোন স্টাফ নেই। ডিজিটাল যুগে পাঠাগারে বসে বই পড়ার মত লোক খুবই কম আছে। দেখি আগামীতে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া যায় কি না। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here