• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

পাকস্থলী ক্যান্সার সারাতে খেতে পারেন মটরশুটি!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

সবুজ ছোট ছোট দানাগুলো দেখতেও যেমন সুন্দর খেতেও সুস্বাদু। এখন মটরশুটির মৌসুম। এর দামও হাতের নাগালে। যে কোনো খাবারেই মটরশুটি ব্যবহার করা যায়। এটি খাবারের স্বাদ আরো বাড়িয়ে দেয়। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই শষ্যদানা স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত কার্যকরী। 

জানেন কি? প্রতি ১০০ গ্রাম মটরশুটি থেকে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ কিলো ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে রয়েছে ১৪ দশমিক ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, শুন্য দশমিক ৫ গ্রাম ফ্যাট ও ৫ দশমিক ৪ গ্রাম প্রোটিন। 

এছাড়া ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, আয়রন, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ ও কে থাকে। এতে ফ্যাট কম থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

> মেক্সিকান গবেষকদের মতে, প্রতিদিন অন্তত দুই মিলিগ্রাম পলিফেলনসমৃদ্ধ খাবার খেলে পাকস্থলী ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আর এক কাপ মটরশুটিতে প্রায় ১০ মিলিগ্রাম পলিফেলন থাকে। তাই এটি পাকস্থলী ক্যান্সার সারায়।

> মটরশুটি পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে।
 
> এছাড়া মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি বয়স ধরে রাখে। এছাড়াও এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। এ কারণে ডায়বেটিস রোগীর জন্যও এটি বেশ উপকারী। 

> মটরশুটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

> শরীরের হোমোসাইস্টাইন লেভেল কমায় মটরশুটি। এতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি মটরশুটিতে রয়েছে ভিটামিন বি ১, ২, ৩, ৬। 

> শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে মটরশুটি। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে। হাড় মজবুত রাখতেও মটরশুটি বেশ কার্যকরী। 

> ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা মটরশুটি খেতে পারেন। এছাড়া এটি শরীরে হাড় শক্ত করতেও খুব ভালো। ফলিক অ্যাসিড থাকায় প্রসূতি মায়েরা মটরশুটি খেতে পারেন।  

> মটরশুটিতে ভিটামিন কে থাকায় এটি আলঝেইমার ও বাতে ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। মটরশুটিতে থাকা পুষ্টিগুণ মস্তিষ্কের বিভিন্ন কোষকে রক্ষা করে। 

> মটরশুটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড থাকায় এটি গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই ভালো। এতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে। এ কারণে শিশুর ডিএনএর কোষগুলো স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হতে পারে।

> ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মটরশুটির জুড়ি মেলা ভার। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদানসমূহ, ভিটামিন ও মিনারেল। নিয়মিত মটরশুটি খেলে ত্বক বলিরেখামুক্ত হয়।

> ভিটামিন সি এর ভালো উৎস হলো মটরশুটি। শরীরের কোলেজেন তৈরিতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। 

> মটরশুটিতে ভিটামিন এ থাকায় এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here