• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প: করোনা সংকটেও থেমে নেই কাজ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

জমি অধিগ্রহণ, মাটি ভরাট, খুঁটি নির্মাণের পর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে এখন চলছে খুঁটির ওপর অবকাঠামো নির্মাণকাজ। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার পলাশপুরে বসানো হয়েছে প্রথম ভায়াডাক্ট বা উপরি কাঠামো। সম্প্রতি পলাশপুর গিয়ে দেখা গেছে, ৩৮৩ ও ৩৮৪ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয়েছে এ ভায়াডাক্ট। কেরানীগঞ্জের পানগাঁও, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের কুচিয়ামুরা, শ্রীনগর, মাওয়া হয়ে যশোরমুখী রেলপথের বিভিন্ন অংশে এগিয়ে চলছে নির্মাণকাজ। নভেল করোনোভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর চীনে আটকে পড়েন প্রকল্পে যুক্ত ১৫০ চীনা কর্মকর্তা ও কর্মী। অন্য ৭৫০ চীনা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধির আওতায় এনে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ের কাজীরগাঁও এবং পাশের গ্রামগুলোতে প্রকল্প এলাকায় সমতল থেকে মাটি ভরাট করে উঁচু করা হয়েছে। এর ওপর তৈরি হচ্ছে পথ। এবড়োখেবড়ো পথে বাসে করে যেতে একটু পর পরই দেখা যাচ্ছিল সারি সারি খুঁটি। পলাশপুরে কথা হয় প্রকল্পের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে। তাঁরা জানালেন, সেখানে স্থাপন করা হয়ে গেছে প্রকল্পের প্রথম উপরি কাঠামো। ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথের ২৩ কিলোমিটার হবে খুঁটির ওপর। ঠিকাদারির দায়িত্ব পালন করছে চীনের ‘চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড’।

ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৫৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নিভৃত গ্রামের পথে পথে এ রেলপথের কাঠামো দৃশ্যমান। কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ে প্রকল্প এলাকা ধরে যেতে যেতে চোখে পড়ল ভূমি উন্নয়নের কাজ। তবে মুন্সীগঞ্জের পলাশপুরে খুঁটির ওপর রেলপথের অবকাঠামো নির্মাণকাজ বেশি দৃশ্যমান।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, খুঁটির ওপর ২৩ কিলোমিটার রেলপথে বসানো হবে ৪১৮টি ভায়াডাক্ট।

কর্মকর্তারা জানান, পলাশপুর অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা। সেখানে একাধিক সেতু রয়েছে। আছে ধলেশ্বরী নদীর শাখাসহ অন্যান্য নদী। প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন এ চৌধুরী বলেন, প্রথম উপরি কাঠামো বসানো হয়েছে। এটা অনেক কঠিন কাজ ছিল। তিনি জানান, করোনা প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতির মধ্যে চীনে আটকে পড়া ১৫০ কর্মীকে ধাপে ধাপে নিয়ে আসা হবে।

একদিকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের খুঁটি বসানোর কাজ চলছে, অন্যদিকে জাজিরা অংশেও মূল পদ্মা সেতুর ওপর চলছে রেলপথ বসানোর কাজ। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালের জুন মাসে। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-যশোর রেলপথে রেলস্টেশন থাকবে ১৪টি। এর জন্য অধিগ্রহণ করতে হবে ২০০ একর জমি। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জেলায় জমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ। অন্য পাঁচ জেলায়ও জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশে প্রকল্পকাজের অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। সার্বিক কাজ হয়েছে ২৪ শতাংশ। প্রকল্পে ডাবল রেলপথের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও বর্তমানে নির্মাণ করা হচ্ছে সিংগেল পথ।

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। প্রকল্পের ভূতাত্ত্বিক জরিপ ও ্যালাইনমেন্টের কাজ শেষ হয়েছে শতভাগ। বাঁধ ও নকশার কাজ শেষ হয়েছে ৮৯.৫ শতাংশ, টেস্ট পাইলের নকশা হয়েছে ৯২.৮৫ শতাংশ, কালভার্টের নকশার কাজ ৬৩.৬ শতাংশ, বাঁধ নির্মাণের কাজ ২৫.২ শতাংশ, টেস্ট পাইলের কাজ ৬০.৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।

কমলাপুর থেকে গেণ্ডারিয়া স্টেশন পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ডুয়াল গেজ, দ্বিতীয় অংশে গেণ্ডারিয়া থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৬ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার ব্রড গেজ, তৃতীয় অংশে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত ৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার ব্রড গেজ, চতুর্থ অংশে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৬ কিলোমিটার ব্রড গেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here