• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

পঞ্চগড়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অস্বীকার আ’লীগ নেতার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বোদা পাইলট গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুল। 

রোববার দুপুরে স্কুল এন্ড কলেজের অফিস কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বোদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মকলেছার রহমান জিল্লু আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের লিখিত অভিযোগ করেছেন। 
 
রবিউল আলম সাবুল লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার কোন অবৈধ আয় নেই। যা আয় করেছি বৈধভাবে করেছি। ইতোপূর্বে আমি এনজিওতে চাকুরি করেছি। ঠিকাদারি করেছি। প্রাইভেট পড়িয়েছি। বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছি। আমার স্ত্রী সরকারি চাকুরি করেন। আমি নিজে চাকুরি করি। 

এ থেকে যা আয় হয়েছে তা দিয়ে কিছু জমি কিনে রেখেছি। মকলেছার রহমান জিল্লু দুর্নীতি দমন কমিশনের লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি নাকি ২০১০ সালে মে মাসে বোদা পাইলট গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে কয়েক বছরের মধ্যে দুর্নীতির মাধ্যমে শুন্য থেকে কোটিপতি হয়েছি।

প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব নেয়ার পর স্কুল ও কলেজে ৪৪ জন শিক্ষক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করে পাঁচজন শিক্ষক ও একজন পিয়ন দিয়েছেন। এসব শিক্ষকের নিকট থেকে ৫-৭ লাখ টাকা নিয়েছি। এটা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়।

তিনি বলেন, আমার এখানে প্রাথমিক শাখা নেই। তাই এই শাখায় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। বর্তমান রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন সভাপতি থাকাকালে চারজন এবং কাজী ফজলে বারী সুজা সভাপতি থাকার সময় শূন্যপদে সাধারণ শাখায় দুইজন, ডাবল শিফটে ১২ জন, কারিগরি শাখায় চারজন এবং কলেজ শাখায় নয়জনকে সরকারি বিধিমালা মেনেই নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীর অংশগ্রহণে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন ছাড়াই এসকল শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তিতে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে সাধারণ শাখায় একজন ও কলেজ শাখায় তিনজনকে নিয়োগ দেয়া হয়। 
 
তিনি আরও বলেন, একবার নয় দুবার নয় একাধিকবার আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। সব অভিযোগের তদন্তের পর আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আশা করি এবারেও আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কোন প্রমাণ সংশ্লিষ্টরা পাবেন না। 

আমার ও আমার বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নামে বেনামে এভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এবারের অভিযোগের তদন্ত শেষে আমি অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবো। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করেছি। 

সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here