• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

নীলফামারীতে ক্ষতিপুরণের টাকার দাবিতে দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

নীলফামারী-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ সম্প্রসারণ কাজের ভূমি অধিগ্রহণ ক্ষতিপুরণের টাকার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে জমির মালিকরা। শনিবার(৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দের ঘন্টা ব্যাপী নীলফামারীর নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে চড়াইখেলা ইউনিয়নের দারোয়ানী পিলার নামক স্থানে ভুমি মালিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে ওই সড়কে।    

এ সময় ওই সড়ক দিয়ে নীলফামারী আসছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। তিনি গাড়ী থেকে নেমে ভুমি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। 

অবরোধকারীদের অভিযোগ, চলতি বছর এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবার কথা থাকলেও এখনো অনেকে অধিগ্রহণের টাকা পাননি।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ নীলফামারীর সুত্র মতে, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২২৫ কোটি ৯৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের ১৯ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত ও মজবুতিকরণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর। যার নিমার্ণ কাজ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। আর অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা প্রদানের শেষ সময় রয়েছে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু এখনও শতশত জমির মালিক ক্ষতিপুরণের টাকা পায়নি। অথচ যে জমিগুলো অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেখানে নীলফামারী-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শেষ পর্যায়ে। 

ক্ষতিগ্রস্থ্য জমির মালিক আবুল শেখ সহ অনেকে জানান, অনেক দিন ধরে অধিগ্রহণের টাকার জন্য আমরা ধর্না দিচ্ছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা। এর আগে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারী এলাকাবাসী পিলার এলাকায় একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করলে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহীনুর আলম সেখানে এসে ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বদলী হয়ে যাওয়ার পর আমাদের কেউ খোজ রাখেনি । এরপর গত ৬ অক্টোবর আমরা পুনরায় সড়ক অবরোধ কর্মসুচি পালনের সময় নবাগত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার নাহিদ হাসান ঘটনা স্থলে এসে দ্রুত অধিগ্রহণের টাকা প্রদানের আশ্বাস দেয়। কিন্তু নয় মাস পেরিয়ে গেলেও আজও সে টাকা দেয়া হয়নি।

ক্ষতিগ্রস্থ্য জমির মালিক এনামুল হক অভিযোগ করে বলেন, একই সড়কে ঢেলাপীর সংলগ্ন ইকু জুটমিল রয়েছে। ওই জুট মিলের রাস্তার ধারে সীমানা প্রাচীরের একটু জমিও রাস্তায় পড়েনি। অথচ ওই জুট মিলের মালিক ক্ষতিগ্রস্থ হিসাবে ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করা হলে কারা অনিয়ম দুর্নীতি করছে এবং অন্যান্য জমির মালিকদের ক্ষতিপুরণ দিচ্ছেনা তা বেড়িয়ে আসবে।  

সড়ক ও জনপথ বিভাগের মতে জেলা প্রশাসন  এ পর্যন্ত ৬২ কোটি টাকার এস্টিমেট দিয়েছেন, আমরা ১০২ কোটি টাকা প্রদান করেছি। নতুন করে আর কোনো এস্টিমেট পাইনি। 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার নাহিদ হাসান এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন আমরা সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ্য ভুমি মালিকদের ক্ষতিপুরণের টাকা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছি। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here