• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

নীলফামারীতে ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য সদস্য জোসনা বেগম ও তার স্বামী রুবেল হোসেনকে প্রতিবন্ধীদের ভাতা জাল সাক্ষর করে আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত দিতে বলায় ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলুকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে ওই স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি নম্বর-১২৭৬ তারিখ ২৬-০৯-২০২০) দায়ের করেছেন।
 
উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলায় এক হাজার ৫৪০ জন প্রতিবন্ধীকে সরকার প্রদত্ত প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর আওতায় আনা হয়। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী গত পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে প্রত্যেক ভাতাভোগী ৭৫০ টাকা মাসিক হারে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত এক বছরের ভাতা বাবদ মোট ৯ হাজার করে টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাওয়ার কথা। 

অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, বাহাগিলি ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য জোসনা বেগম ও তার স্বামী রুবেল হোসেন তিনজন প্রতিবন্ধীর সাক্ষর জাল করে মোট ২৭ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন।

উপজেলার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নমির উদ্দিনের স্ত্রী ফজিলা বেগম জানান, সরকারিভাবে আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে নমিজা আক্তারের নামে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড হলেও এখন পর্যন্ত ভাতার বই কিংবা ভাতার টাকা কোনটিই পায়নি। 

উপজেলা সমাজসেবা অফিসের তালিকায় বাহাগিলি ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় ৩১ নম্বর সিরিয়ালে নমিজা আক্তারের নাম রয়েছে। তার ভাতা বহি নম্বর-২৮৫৪। বাহাগিলি ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে এরকম ভাতাভোগী সেকেন্দার আলীর সিরিয়াল নম্বর ৩২, ভাতা বহি নম্বর-২৮৫৫ এবং ফেরজুল মিয়ার সিরিয়াল নম্বর ২৯ ও ভাতা বহি নম্বর-২৮৫২। তাদের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকাতো দূরের কথা এখনও ভাতার বইও হাতে পাননি তারা। 

বাহাগিলি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলু জানান, আমি তাদের বারবার বলে আসছি ওই তিন প্রতিবন্ধীর বই ও টাকা ফেরত দিতে। কিন্তু তারা কোনভাবে প্রতিবন্ধীর ভাতার বই ও টাকা কার্ডধারীদের দিচ্ছেনা। এ অবস্থায় শনিবার সকালে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য জোসনা বেগম ও তার স্বামী  রুবেল আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং আমাকে মারপিট করার জন্য তেরে আসে। পরবতীর্তে এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসলে আমাকে এবং পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দেয় তারা। এই ঘটনায় আমি বাধ্য হয়ে থানায় দুপুরে জিডি করেছি। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। 

এ বিষয়ে বাহাগিলি ইউনিয়নের ১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জোসনা বেগমের মুঠোফোনে একাাধিকবার কল দিলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ না করার তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, এ ঘটনায় বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ  থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরী করেছেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। পাশপাশি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here