• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

নিঃসঙ্গ মেসিকে নিয়ে `নতুন বার্সা`র শুরু

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

বার্সেলোনার জার্সিতে আজ আরেকটি নতুন মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি, যে দৃশ্য দেখা গেছে বিগত ২০ বছরেও। তবে আগে যা দেখা যায়নি, এবার হবে সেটিও। তার প্রতিটি নড়াচড়া, হাবভাব আর শরীরী ভাষাকে আতশিকাচের নিচে ফেলে বিশ্নেষণ করা হবে; দেখা হবে আগের মতোই নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলছেন কিনা।

চলে যেতে চেয়েও বাধ্য হয়ে অনিচ্ছায় ক্লাবে থেকে যাওয়া ভগ্নহৃদয়ের মেসিই কেবল নন, ফুটবলাঙ্গনের নজরে থাকবে নতুন চেহারা পাওয়া বার্সেলোনার দিকেও। লুইস সুয়ারেজ, নেলসন সেমেদো থেকে ইভান রাকিটিচ ও আরতুরো ভিদাল- নিয়মিত মুখ বিদায় নিয়েছে অনেকগুলোই। ডাগআউটেও নতুন নেতা- রোনাল্ড কোম্যান। সব মিলিয়ে আজ লা লিগায় ২০২০-২১ মৌসুমের প্রথম ম্যাচে নামতে যাওয়া বার্সেলোনা ও মেসিকে ঘিরে কৌতূহল আর আগ্রহ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

আক্রমণভাগে কারা

সুয়ারেজকে ছেড়ে দিলেও বার্সেলোনার আক্রমণভাগ এখনও বেশ সমৃদ্ধ। আন্তোনিও গ্রিজম্যান, ফিলিপে কুতিনতো আর উসমান দেম্বেলে থেকে শুরু করে তরুণ আনসু ফাতি ও ত্রিনকাও আছেন দলে। তবে বড় দুর্বলতা হচ্ছে চোটাক্রান্ত মার্টিন ব্রাফেট ছাড়া আর কেউই সেন্টার ফরোয়ার্ড নন। কোম্যান মেসিকে সম্ভবত ফলস নাইন হিসেবে খেলাবেন। কিন্তু আর্জেন্টাইন তারকা সবসময় আরেকটু নিচে নেমে খেলতে পছন্দ করেন, যেখানটায় অভ্যস্ত কুতিনহো আর গ্রিজম্যানও। এখন এই আক্রমণভাগকে কোন কৌশলে কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটিই কোম্যানের কাছ থেকে দেখার বিষয়।

রক্ষণ কেমন দাঁড়াচ্ছে

বার্সেলোনার সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের স্কোরলাইন প্রায় সবারই এখন মুখস্থ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের কাছে ৮-২-এর যে স্কোরলাইন পাইকারি পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। লজ্জাজনক ওই হারের পর বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট যাদের বিক্রি করা হবে না বলে জানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যকার সেমেদো ক্লাব ছেড়ে চলে গেছেন। পর্তুগিজ এই ডিফেন্ডার চলে যাওয়ায় স্কোয়াডের একমাত্র রাইটব্যাক এখন সার্গিও রবার্তো, যিনিও আদতে মিডফিল্ডার হয়ে গেছেন। রক্ষণের বাঁ দিকে এখনও এক নম্বর পছন্দ ৩১ বছর বয়সী জর্দি আলবা, যার পারফরম্যান্স এখন পড়তির দিকে। এদিকে আবার সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার স্যামুয়েল উমতিতি চোটাক্রান্ত, তাকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টাও চলছে। মোটের ওপর রক্ষণে এখন ভালো অবস্থায় নেই বার্সা। ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষ সময়ে এ জায়গাগুলো নিয়েই মাথা ঘামাতে হচ্ছে ম্যানেজমেন্টকে।

দৃষ্টিজুড়ে মেসি

আগে কখনও ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেননি। প্রকাশ্যে বার্সেলোনা প্রেসিডেন্টের সমালোচনাও করেননি। এমনকি সতীর্থের বিদায়ে তার পক্ষ নিয়ে ক্লাবের বিরুদ্ধেও কিছু বলতে শোনা যায়নি। এবার ঘটেছে সবই। বছরভর ক্লাব প্রেসিডেন্টের কাছে চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। কাজ না হওয়ায় মৌসুমশেষে আনুষ্ঠানিক বার্তাও দিয়েছেন। কিন্তু রিলিজ ক্লজের ফাঁদ দেখিয়ে তাকে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। 'জীবনের ক্লাব'কে কাঠগড়ায় নিতে চাননি বলে থেকে গেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট কথা রাখেননি বলে সমালোচনা করেছেন প্রকাশ্যে। আবার সুয়ারেজকে ছেড়ে দেওয়ার পর 'এভাবে বের করে দেওয়া তোমার প্রাপ্য ছিল না' বলেই ক্ষান্ত হননি, 'এখন আর এসবে আশ্চর্য হই না' বলেও স্পষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্লাবের প্রতি। বুকের ভেতর এত অসন্তুষ্টি আর ক্ষোভ নিয়ে মেসি পারবেন তো সবসময়ের মতো খেলতে?

Place your advertisement here
Place your advertisement here