• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

নামাজে কখন ‘আমিন’ বলা সুন্নত

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

জামাআতে নামাজ পড়ার সময় ইমাম যখন সুরা ফাতেহা শেষ করবেন তখন মুসল্লিদের ‘আমিন’ বলা সুন্নাত। এটি হাদিসে নির্দেশিত অন্যতম আমলও বটে। কেননা নামাজের জামাআতে ইমামের সুরা ফাতেহা পড়া শেষ হলে মুসল্লিদের মতো ফেরেশতারাও 'আমিন' বলেন।

এ সময় যে ব্যক্তি নামাজের জামাআতে সুরা ফাতেহা শেষ হলে সুন্নাত আদায় করতে গিয়ে 'আমিন' বলবে, আর যদি মুসল্লির 'আমিন' বলা ফেরেশতাদের 'আমিন' বলার সঙ্গে মিলে যায় তবে তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। একাধিক হাসি থেকে গোনাহ মাফের বিষয়টি প্রমাণিত।
- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন ইমাম বলবে- 'غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ' তখন তোমরা বলবে- 'آمِينَ' অর্থাৎ আল্লাহ আপনি কবূল করুন। যার পড়া ফেরেশতাদের পড়ার সময় হবে; তার আগের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।' (বুখারি ও মুসলিম)

- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ইমাম যখন ‘আমিন’ বলেন, তখন তোমরাও ‘আমিন’ বলো। কেননা, যার ‘আমিন’ (বলা) ও ফেরেশতার ‘আমিন’ (বলা) এক হয়; তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।' (বুখারি, মুসলিম)

‘আমিন' বলা প্রসঙ্গে ইব্‌নু শিহাব রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ‘আমিন’ বলতেন।'

- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‌'ইমাম 'غَيرِ المَغضوُبِ عَلَيهِم وَلاَ الضّاَلّين' পড়লে তোমরা ‘আমিন’ বলো। কেননা, যার এ (আমিন) বলা মালাক (ফেরেশতা) গণের (আমিন) বলার সঙ্গে একই সময় হয়; তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।' (বুখারি, মুসলিম)
মুমিন মুসলমানের উচিত, জামাআতে নামাজ পড়ার সময় ইমামের সুরা ফাতেহা শেষ হলে ‘আমিন’ বলার আমলটি যথাযথভাবে পালন করা। নিজেদের বিগত জীবনের সব গোনাহ থেকে মুক্তি লাভে নামাজের জামাআতে অংশ গ্রহণ করা। জামাআতে নামাজ পড়ার সময় ইমামের সুরা ফাতেহা পড়া শেষ হলে 'আমিন' বলা। তাতে বিগত জীবনের গোনাহ থেকে মুক্তি পাবে মুমিন।

সুতরাং উপরের হাদিসগুলো থেকে প্রমাণিত যে, জামাআতে নামাজ আদায়ের সময় ইমামের সুরা ফাতেহা পড়া শেষ করার পর মুক্তাদি পূর্ণ মনোযোগ, ভয় ও একনিষ্ঠতার সঙ্গে আমিন বললে আর সে ‘আমিন’ বলা ফেরেশতাদের সঙ্গে মিলে গেলে তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। এমনকি যদি কোনো 'আমিন' বলা ব্যক্তির আমলনামায় ছোট গোনাহ না থাকে তবে আশা করা যায় যে, তার (যদি) কবিরা বা বড় গোনাহ (থাকে তবে তা) হালকা করে দেয়া হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাআতে নামাজ পড়ার তাওফিক দিন। ইমামের সুরা ফাতিহা পড়া শেষ হওয়ার পর 'আমিন' বলার মাধ্যমে নিজেদের গোনাহ থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দিন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দিন। আমিন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here