• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

নাছির-হেলালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ হাইকোর্টের

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে ৩ মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের স্বাক্ষরের পর সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে ১৫৯ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করা হয়। 

রায়ে বলা হয়, এ দুজন দুর্নীতি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খণ্ডাতে পারেনি। কাজেই তাদের সাজা বহাল রাখা যুক্তিযুক্ত হবে।

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে ১৩ বছর ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে দেয়া নিম্ন আদালতের ৩ বছরের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে যাওয়ার তিনমাসের মধ্যে তাদেরকে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশে মামলার পুনঃশুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।

ওই মামলায় একই বছরের ৪ জুলাই মীর নাছির উদ্দিনকে ১৩ বছর এবং তার ছেলে মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন বিশেষ জজ আদালত।
 
এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে পৃথক দুটি আপিল দায়ের করেন। এরপর হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন।

তবে হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল চেয়ে আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে রায়ে দেন আপিল বিভাগ।

রায়ে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেন। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এ মামলায় আসামিদের করা আপিল আবেদন পুনরায় শুনানি (রিমান্ড) নিতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুসারে হাইকোর্টে পুনরায় মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে নির্ধারিত দিনে রায় দেন হাইকোর্ট।

Place your advertisement here
Place your advertisement here