• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বাড়িতে আগুন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

পঞ্চগড়ে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সজিব ইসলাম (১৪) নামে এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

ধর্ষণচেষ্টার শিকার ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা শুক্রবার পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।

গ্রেফতার কিশোরের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের জোতসাওদা পুর্বডাঙ্গী এলাকায়। সে ওই এলাকার ওলেমান আলীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার সতমেরা ইউনিয়নের একটি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রী তার পাশের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায়। শিক্ষক না থাকায় সেখান থেকে সজিব তাকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে উঠোনের শিম বাগানের নিচে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই শিশু চিৎকার করলে তার মা ও প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় বখাটে ওই কিশোর পালিয়ে যায়।

এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। এমনকি ওই কিশোরের পরিবার থেকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়।

এদিকে ঘটনার পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবারের লোকজন তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যায়। এই ফাঁকে সজিব ও তার বাবা-মা ছাত্রীর বাড়ির গোলাঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

অগ্নিকাণ্ডে ওই পরিবারের ৫০ হাজার টাকার সম্পদ নষ্ট হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। রাতেই স্থানীয়রা ওই কিশোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।  

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আবু আক্কাস আহমদ বলেন, নির্যাতিতা ওই শিশুটির বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। নির্যাতিতা শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বয়স নির্ণয় এবং আদালতের মাধ্যমে ২২ ধারায় জবানবন্দী নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। একই সাথে গ্রেপ্তার কিশোরের বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য আদালতে হাজির করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here