• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

দেশে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আউশের আবাদ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও লক্ষ্যমাত্রার অধিক বোরো ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি, এবছর সারা দেশে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর ২ লাখ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ বেড়েছে।

বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এখন আউশ ও আমন উৎপাদন বাড়ানো লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে আউশ ধান বীজ, আমন ধান বীজ, পাট বীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কৃষকের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাগণ করোনার দুর্যোগের মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকের পাশে থেকে আউশ আবাদে উদ্বুদ্ধ করেছেন, সহায়তা করেছেন। পাশাপাশি, যথাসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আবহাওয়া আবাদের অনুকূলে ছিল এবং বোরো ধানের ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকেরা ধানচাষে আগ্রহী হয়েছেন।

এতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১০০.৫২ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ হেক্টর। আর গত বছরের তুলনায় ২ লাখের বেশি হেক্টর জমি বেড়েছে এবার। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১১ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছিল, উৎপাদন হয়েছিল ৩০ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন। এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮শ মেট্রিক টন। ফলে আশা করা হচ্ছে, গত অর্থবছরের চেয়ে এবার আউশ উৎপাদন কয়েক লাখ টন বাড়বে।

আউশ আবাদ বৃদ্ধির জন্য ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৪ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় বীজ ও সার এবং ৮২ হাজার ৪০০ জনকে বীজসহ মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৪ জন কৃষককে সরকারি সহায়তা হিসাবে কৃষি উপকরণ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও, ২০২০-২১ অর্থ বছরে আমন আবাদের প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫৯ লাখ হেক্টর ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৫৬ লাখ মেট্রিক টন চাল। আমন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কম ফলনশীল জাতের আবাদ কমিয়ে আধুনিক/উফশি জাতের সমপ্রসারণ ও হাইব্রিড জাতের এলাকা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে। এর সাথে, মানসম্পন্ন বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, সুষম সারের নিশ্চয়তা, পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা, সেচ খরচ হ্রাস করণসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

আমনে উৎপাদন বাড়াতে এবারই সরকার প্রথম বীজে ভর্তুকি প্রদান করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় হতে বিএডিসি’র ১৯,৫০০ মে. টন আমন ধানবীজ চাষি পর্যায়ে বিক্রয়ের জন্য ২০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। বিএডিসি তাদের ঘোষিত নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ১০ টাকা কম দামে উফশী আমন ধানবীজ ও হাইব্রিডের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি ৫০ টাকা কম দামে চাষি পর্যায়ে বীজ বিক্রি করেছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here