• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

দেশে ফেরায় আশাবাদী রোহিঙ্গারা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চারটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। আদালত সর্বসম্মতভাবে এ আদেশ জারি করেছেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় আইসিজের আদেশ ঘোষণা নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। আইসিজের রায় তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার পথকে সুগম করবে বলে মনে করছেন নির্যাতনের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া এই শরণার্থীরা।  

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত মো. বজলুর বলেন,মিয়ানমার সেনাবাহিনী ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। আরো দুই ভাই এখনো রাখাইন রাজ্যে বন্দি। মিয়ানমারে আমরা যে অত্যাচারের শিকার হয়েছি। আজকের এই রায়ে তার বিচার মিলবে আশা করছি।

টেকনাফ লেদা শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা নেতা নুর বশর বলেন,গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে রোহিঙ্গাদের যে উপকার করেছে,তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তার দাবি,আইসিজের শুনানিতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির গণহত্যার কথা অস্বীকারই  প্রমাণ করে তিনি একজন মিথ্যাবাদী। কারণ রোহিঙ্গারা যে গণহত্যার শিকার হয়েছে সেটি  প্রমাণিত সত্য।

উল্লেখ্য ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বাস্তবতায় জীবন বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।

এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-এ মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও সংঘাত যেন তীব্রতর না হয়, সেজন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানায় দেশটি।

তবে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, এই বিষয়ে মামলা পরিচালনার এখতিয়ার জাতিসংঘের আদালতের নেই। গণহত্যার অভিযোগ খারিজ করতে বিচারককে তিনি আহ্বান জানান।

Place your advertisement here
Place your advertisement here