• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

দুঃখ ঘুচতে যাচ্ছে গাইবান্ধার সাত হাজার মানুষের

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

তিস্তা নদীর বুড়াইল খালের উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউপির বাসিন্দাদের। বিভিন্ন দফতরে ঘুরেও সে দাবি পূরণ না হওয়ায় এগিয়ে এসেছেন ৩০ জন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী। ট্রাস্ট ফান্ড বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তা ও এসকেএস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাঁকো নির্মাণ করছেন তারা। এতে দুঃখ ঘুচতে যাচ্ছে ওই এলাকার সাত হাজার মানুষের।

শুধু ট্রাস্ট ফান্ড বাংলাদেশ কিংবা এসকেএস ফাউন্ডেশন নয়; সাঁকোটি নির্মাণে অবদান রাখছেন স্থানীয়রাও। কেউ দিয়েছেন বাঁশ, কেউ দিয়েছেন টাকা, আবার কেউ কেউ দিয়েছেন শ্রম। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাঁকো নির্মাণ করছেন তারা। ৩০০ ফুট লম্বা বাঁশ-কাঠের এ সাঁকো নির্মাণ হলে উন্মুক্ত হবে সাত হাজার মানুষের যাতায়াত পথ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে সাঁকো নির্মাণের কাজ। কেউ বাঁশ কাটছেন, কেউ কাঠে পেরেক মারছেন, কেউ আবার পানিতে নেমে মাটির নিচে খুঁটি পুঁতে দিচ্ছেন। এ সময় সেখানে হাজির হয়েছেন জনপ্রতিনিধি ও এসকেএস ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ শতাধিক মানুষ।

ভুক্তভোগী ও সাঁকো নির্মাণে অংশ গ্রহণকারীরা জানান, সুন্দরগঞ্জ বন্যাকবলিত উপজেলা। গেল বন্যায় এখানকার বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে স্থানীয়রা। এ পথে চলাচল করে খোর্দ্দা, চরর্খোদ্দাসহ বিভিন্ন গ্রামের কয়েকশ শিক্ষার্থীসহ ৬-৭ হাজার মানুষ। সাঁকো না থাকায় তাদের ঝুঁকি নিয়ে কলাগাছের ভেলায় নদী ও খাল পার হতে হয়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিশু-বৃদ্ধ ও অন্তঃসত্ত্বাদের। এখন সাঁকোটি নির্মাণ শেষ হলে সবার দুঃখ দূর হবে।

স্থানীয় মকবুল হোসেন বলেন, ছেলে-মেয়েরা নদীর ওপারে স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে। সাঁকো না থাকায় তারা কলাগাছের ভেলায় করে যাতায়াত করে। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কায় থাকতে হয়। সাঁকোটি নির্মাণ শেষ হলে ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে স্কুল-কলেজে যেতে পারবে। পরিবারও থাকবে চিন্তামুক্ত।

এসকেএস ফাউন্ডেশনের ফোকাল পারসন জামাল উদ্দিন বলেন, বন্যার্তদের জন্য এসকেএস ফাউন্ডেশন নিরলস কাজ করছে। দুই দিনের মধ্যে সাঁকোটি নির্মাণ শেষ হবে। কাজ শেষ হলে তারাপুরের মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ কমবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here