• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

দীর্ঘ ২৮ বছর পর হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। ১৯৯৮ সালে সর্বশেষ এর গঠনতন্ত্র সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য বৈঠক হয়েছিল। গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী করতে আবার একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য বৈঠক ডেকেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যাতে নির্ধারণ হবে কারা হতে পারবেন এবারের ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী ও ভোটার।

ছাত্রসংগঠনগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ডাকসু অচল থাকায় এর গঠনতন্ত্রটি দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘদিন পরে ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ আলোচনায় আসায় গঠনতন্ত্রটি তাদের সামনে নতুন আগ্রহ ও আবেদন নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। ফলে এর সীমাবদ্ধতা বা সংস্কারের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে নিবিড় পর্যালোচনার প্রয়োজন।

ডাকসুর গঠনতন্ত্রের ৪ ধারার ১ ও ২ উপধারা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ও অনাবাসিক সব নিয়মিত শিক্ষার্থীই ডাকসুর সদস্য। তবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আর্থিক প্রাপ্য পরিশোধ করতে হবে। অনিয়মিত শিক্ষার্থীরাও ডাকসুর সদস্য হতে পারেন, তবে তাদের ডাকসু নির্ধারিত নিবন্ধন ফি দিতে হয়।

৪ ধারার ৩, ৪ ও ৫ উপধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরও নিবন্ধন ফির বিনিময়ে ডাকসুর সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই প্রক্রিয়া দুই ধরনের। একটি হচ্ছে সাধারণ সদস্য ও আরেকটি আজীবন সদস্য। ডাকসুর কার্যনির্বাহী সংসদ চাইলে দেশের যেকোনো বিশিষ্ট নাগরিককে ডাকসুর আজীবন সদস্য ঘোষণা করতে পারে।

১৯৯১ সালের ১৭ জুন সিন্ডিকেটের সভায় একটি সংশোধনী আনা হয়। এতে বলা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা প্রিলিমিনারি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্টসের ডিগ্রি পাস কোর্স, বিএফএ, বিবিএ, ডিপ্লোমা, পরিসংখ্যান ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র সার্টিফিকেট কোর্সের শিক্ষার্থীরা ভোটার হতে পারবেন। কিন্তু এদের মধ্যে যারা কোনো কোর্সে শিক্ষাবিরতি দিয়ে পুনভর্তি হয়েছেন বা ফি দেওয়ার সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে, তারা সে সুযোগ পাবেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সব ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বই নিয়মিত শিক্ষার্থী নন। সেক্ষেত্রে ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের শীর্ষ নেতাদের ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী করতে এমফিল বা একাধিক স্নাতকোত্তর করছেন, এমন শিক্ষার্থীদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখার দাবি জানাবে।

ভোটার কারা হবেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, সবকিছু কমিটি দেখবে। কিছু নিয়ম যে আছে, সেগুলো যথার্থ কিনা এবং কোন ক্ষেত্রে কী করা উচিত, সবই দেখবে কমিটি। তারপর তারা একটি সুপারিশ করবে।

কমিটিতে যারা আছেন:
গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ ও আইন বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কবি জসীমউদ্‌দীন হলের প্রাধ্যক্ষ ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা এবং শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া সাহা।

কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যমান গঠনতন্ত্র সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা বা কোনো কিছু সংযোজন বিয়োজন করতে হবে কিনা, সেটা জানতেই বৈঠকে ছাত্রসংগঠনগুলোর পরামর্শ নেওয়া হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here