• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

দিনাজপুরের পাঁচ ‍উপজেলা হানাদার মুক্ত হয় আজ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

আজ ৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ দিনে দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার মধ্যে বীরগঞ্জ, বোচাগঞ্জ, কাহারোল বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত হয়।

বীরগঞ্জ

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বীরগঞ্জকে শক্রমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী-মিত্রবাহিনীর যোদ্ধারা। পাশের জেলা ঠাকুরগাঁও জেলা ৩ ডিসেম্বর শক্রমুক্ত হওয়ার পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সৈয়দপুর অভিমুখে পালানোর সময় মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে। এতে তারা দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কে ভাতগাঁও সেতু পুর্ব প্রান্তে অবস্থান নেয়। ফলে বীরগঞ্জের অলিগলিতে মুক্ত বাতাসে উড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

বোচাগঞ্জ

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিনে বোচাগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে শত্রুমুক্ত করেছিল উপজেলার মাটি। বোচাগঞ্জের মাত্র ১১৫ দামাল ছেলে ও একজন আনসার সদস্যসহ মোট ১১৬ মুক্তিযোদ্ধা প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে বোচাগঞ্জকে হানাদার মুক্ত করে। সম্মুখযুদ্ধে ধনতলা গ্রামের আব্দুর বারেক ও এনামুল হক, কাকদুয়ার গ্রামের চিনিরাম দেবশর্মা, বিহাগাঁও গ্রামের কাশেম আলী, রনগাঁও ইউনিয়নের ধনঞ্জয়পুর গ্রামের গুলিয়া বাংরু, বনকোট চুনিয়াপাড়া গ্রামের বীর্যমোহন রায় মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৩ জন শহীদ হন। বর্তমান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর দুই ভাইকে পাক বাহিনী নিয়ে যায়। তারা এখনো নিখোঁজ রয়েছে ।

বিরামপুর

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বিরামপুর হানাদার মুক্ত দিবস। স্বাধীনতাযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর দখল থেকে এ দিনে ভোরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী বিরামপুর উপজেলা এলাকাকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত করেন। পাকিস্তানি সেনারা ৪ ডিসেম্বর পাইলট স্কুলের সম্মুখে ও ঘাটপাড় সেতুতে প্রচণ্ড শেলিং করে ভাইগড় গ্রাম দিয়ে তীরমনিতে শেল নিক্ষেপ করে। রোমহর্ষক ও সম্মুখযুদ্ধে কেটরা হাটে ১৬ মুক্তিযোদ্ধাসহ সাত পাকিস্তানি সেনা নিহত ও শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা আহত এবং পঙ্গুত্ববরণ করেন।

নবাবগঞ্জ

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর নবাবগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস। স্বাধীনতাযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর দখল থেকে এ দিনে ভোরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী নবাবগঞ্জ উপজেলা এলাকাকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত করেন। মুক্তি বাহিনীরদের আক্রমণের কারণে পিছু হটতে থাকে হানাদার বাহিনী। একপর্যায়ে উপজেলার ভাদুরিয়া নামক স্থানে পাকিস্তানি হানাদারদের সাথে মিত্রবাহিনীর তুমুল লড়াই হয়। সেখান থেকে হানাদাররা মিত্রবাহিনীর নিকট পরাজিত হবার আশঙ্কায় পিছু হটতে হটতে ঘোড়াঘাট এলাকায় যায় এবং নবাবগঞ্জ উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়।

কাহারোল

আজ ৬ ডিসেম্বর। কাহারোল হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর দখল থেকে এ দিনের ভোরে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী কাহারোল উপজেলাকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত করে। ৬ই ডিসেম্বর সকালে মুক্তিবাহিনীরা কাহারোল বাজারে বাংলাদেশি পতাকা উড়ায়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here