• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

দিনাজপুরে বোরো ধানের ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

খাদ্য শস্যের ভান্ডার খ্যাত কৃষিভিত্তিক দিনাজপুরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও বোরো ধানের ফলন ভাল হয়েছে। কৃষকরা উৎসবমুখর পরিবেশে ধান কাটা-মাড়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখন পর্যন্ত ৮৮% ধান কাটা-মাড়াই হয়েছে।

কিন্তু হঠাৎ অসময়ে ঝড় ও বৃষ্টিপাতে ক্ষেতে ধান শুয়ে পড়েছিল। তাই ভিজা ধান কিনতে ক্রেতারা আগ্রহী ছিল না। ফলে দাম কিছুটা কম হলেও কৃষকরা ধান বিক্রয় করেছে।

তবে বর্তমানে প্রচণ্ড তাপদাহে ধানের বাজার দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন কৃষকরা ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি। অসময়ে ঝড় ও বৃষ্টিতে কিছুটা ফলন কম হলেও ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকরা সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে। তবে এবারেও ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

জেলায় হাইব্রিড ও উফশী জাতের ধান চাষ হয়েছে। উফশী জাতের মধ্যে ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৫৮, মিনিকেট, সম্পা কাঠারী, বগুড়া সম্পা, জামাই কাঠারী, সোনামুখী, নানিয়া, কোটরা পারী ও বিয়ার-১৬। হাইব্রিড ধানের মধ্যে তেজ গোল্ড, হীরা-২, ব্রাক (রূপালী) ও SL8H।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা ধান বস্তা প্রতি ১৭০০ থেকে ১৯০০ টাকার মধ্যে বিক্রয় হচ্ছে। অথচ কিছু দিন আগেও মোটা ধান বস্তা প্রতি ১৩০০ থেকে ১৪৫০ পর্যন্ত দাম কৃষকরা পেয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে এবার দিনাজপুর জেলায় ১ লাখ ৭১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ২৫ হাজার ১০৬ হেক্টর জমিতে আর উফশী ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে উফশী ধানের ক্ষেত্রে ৯ লাখ ৩০ হাজার ৪৬৮ মেট্রিক টন। আর হাইব্রিডের ক্ষেত্রে ১ লাখ ৮১ হাজার ১০০ শত মেট্রিক টন।

সদরের শেখপুরা ইউনিয়নে কিষান বাজারে ধান বিক্রয় করতে আসা কৃষক মো. রফিকুল বলেন, অসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কিছুটা ফলন কম হলেও বাজারে ধানের দাম আশানুরুপ পাওয়া যাচ্ছে। গত রবিবার হাটে মন প্রতি ৯০০ টাকা দরে ধান বিক্রয় করেছি।

আরেক কৃষক সনাতন জানান, ফলন ভাল হয়েছে। আগে ভিজা ধান বিক্রয় করেছি ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। বর্তমানে তাপদাহে শুকনা ধান বিক্রয় করেছি বস্তা প্রতি ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকা দরে। এতে গড়ে ভালই দাম পেয়েছি।

এই ব্যাপারে দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, এবার উৎপাদন ভাল হয়েছে। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে, আবহাওয়া ভাল থাকলে বাকি ১২% ধান দ্রুত কৃষকরা কর্তন করবে।

অসময়ে ঝড় ও প্রচুর বৃষ্টিতে কিছুটা ফলন কম হলেও ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকরা সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে। কৃষকের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ০.০০১% কম। যা অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এবারও ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here