• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

দাম কমার শঙ্কা, পীরগাছায় অপরিপক্ব আলু তুলেই বাজারে বিক্রি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

এক সপ্তাহ আগেও রংপুরের পীরগাছায় খুচরা বাজারে এক কেজি আলুর দাম ছিল ৪০ টাকা। আজ সেই আলু বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা কেজি দরে। আলুর দাম দ্রুত কমতে থাকায় কৃষকরা অপরিপক্ব আলু জমি থেকে তুলে বাজারে বিক্রি করছে।

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার কৃষকরা আগাম আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছিল। প্রথম দিকে বাজারে ভালো দাম থাকায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে আলুর দাম কমার শঙ্কায় কৃষকরা অপরিপক্ব আলু তুলতে শুরু করেন।

আজ শুক্রবার সরেজমিনে উপজেলার তাম্বুলপুর ও ছাওলা ইউনিয়নে তিস্তার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা আগাম রোপণ করা আলু তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। কিন্তু ক্ষেতের আলু উত্তোলনের সময় এখনও হয়নি। যে আলু ১৫ দিন পরে তোলার উপযুক্ত হবে সেই আলু দাম কমার শঙ্কায় আগাম তোলা হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, তারা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগাম আলু রোপণ করেছিলেন। ভেবেছিলেন মৌসুমের শুরুতে ভালো দাম পাবেন। কিন্তু নতুন আলু বাজারে ওঠার প্রথম মাসে দাম ভালো ছিল। গত সপ্তাহ থেকে দাম কমতে শুরু করে। তাই লোকসানের শঙ্কায় অপরিপক্ব আলু তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। শুরুতেই যে হারে দাম কমতেছে, শেষের দিকে আরও কমার শঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলায় ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুসহ রবিশস্য আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় এক হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বেশী আলু চাষ করা হয়েছে। তবে বাস্তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

পাঁচ দফা বন্যায় উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ১ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমির রোপা আমন ও ৭২ হেক্টর জমির রবিশস্য সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। এতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ প্রায় ১০ হাজার কৃষকের ২০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে চাহিদার অতিরিক্ত আলু উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করা হলেও কৃষকরা শুনেনি। তারা বাজারে দাম ভাল থাকায় আলু চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামে। যে আশায় কৃষকরা আলু চাষে ঝুঁকেছে তা পূরণ নাও হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। তবে আলুর দাম স্থিতিশীল রাখতে বিদেশে রপ্তানিসহ সব ধরনের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে কৃষকরা।

শিবদেব চরের কৃষক সাইদুর রহমান বলেন, চরের জমি আলু চাষের জন্য উপযোগী। তাই প্রতিবছর চরে প্রচুর আলু চাষ হয়। তবে এবার বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অন্যান্য এলাকার কৃষকরা আলু চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এ জন্য এখনই বাজারে প্রচুর আগাম আলু উঠতে শুরু করায় দাম কমে যাচ্ছে।

তাম্বুলপুর ইউনিয়নের রহমতের চরের কৃষক আজিজল হক বলেন, গত বছর আলু দাম ভাল থাকায় যারা কখনও আলু চাষ করেনি তারও এবার আলু চাষ করছে। এখন বাজারে আলুর দাম কমতে শুরু করেছে। তাই লাভের আশায় অপরিপক্ব আলু তুলে বাজারে বিক্রি করছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর রোগ বালাইর সম্ভাবনা তেমন নেই। তাই এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভালো দামের আশায় অপরিপক্ব আলু তুলে বিক্রি করা ঠিক হবে না।

Place your advertisement here
Place your advertisement here