• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

তেঁতুলিয়ায় ঘর পাচ্ছে ভূমিহীন ৩২ পরিবার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের গৃহ নির্মাণের জন্য জমি দান করেছেন আব্দুল মালেক নামে ৭২ বছর বয়সী একাত্তরের রণাঙ্গনের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার দানের ৯০ শতক জমির উপরে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নতুন ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে এমন ৩২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য। বীর মুক্তিযোদ্ধার এমন মানবিকতায় আশ্রয় পাবে ৩২টি পরিবার। তার দেয়া জমি আর মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরুপ ঘর পেয়ে খুশি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খাস জমির উপরে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প’র নতুন ঘর। এই উপজেলায় চলতি অর্থ বছরে ১৪২টি ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর প্রত্যেক পরিবারের জন্য ২ শতাংশ খাস জমির উপর দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি আধাপাকা ঘরসহ সংযুক্ত টয়লেট ও রান্নাঘর মিলে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এসব ঘর। 

তবে এবার জেলার পাঁচ উপজেলায় খাস জমিতে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৬’শ ঘর নির্মাণ করা হলেও শুধু মাত্র তেঁতুলিয়া উপজেলার রনচন্ডী এলাকায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সরকারী খাস জমিতে নয়, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার দানকৃত ৯০শতক জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে এই ৩২টি পরিবারের জন্য নতুন ঘর ও তাদের নতুন ঠিকানা। আর এই নতুন ঠিকানার নাম করণ করা হচ্ছে জমিদাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের নামের সাথে মিল রেখে মালেক নগর গুচ্ছগ্রাম। শুধু তাই নয় তিনি এই পরিবার গুলোর জন্য ৯০শতক জমি ছাড়াও যাতায়াতের জন্য আরও ১৫ শতক জমি সড়ক তৈরীর জন্য দান করেছেন। এখানে যারা বসবাস করবেন সেই পরিবারদের জন্য ১টি বড় পুকুরও খনন করে দিচ্ছেন তিনি। জমি দান করার ফলে ৩২টি পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর। 

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন দরিদ্র মানুষ গুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার স্বরুপ নতুন ঘর নির্মাণে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে, যেন কাজের মানটা সর্বোচ্চ সঠিক রাখা যায়। যাতে করে ভূমিহীন ও গৃহহীনরা প্রধানমন্ত্রীর উপহার সঠিক ভাবে বুঝে পায়। এছাড়াও ঘর নির্মাণের বাইরেও অতিরিক্ত কিছু কাজ যেমন প্রতি তিনটি পরিবারের জন্য একটি করে টিউবওয়েল ও বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগসহ রাস্তা তৈরী করে দেয়া হচ্ছে, যেন তাদেরকে দূর্ভোগে পড়তে না হয়। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here