• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

তৃণমূলের কমিটি নিয়ে লেজেগোবরে বিএনপি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

তৃণমূলের কমিটি নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থায় পড়েছে বিএনপি। বেশ কয়েকটি জেলায় তৃণমূল নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটি চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এমনকি কোথাও কোথাও এমন ব্যক্তিকে পদ দেয়া হয়েছে, যাকে স্থানীয় নেতারাও চেনেন না। 

এছাড়া অধিকাংশ জেলা কমিটিতে সিনিয়র নেতাদের রাখা হয়েছে জুনিয়র নেতাদের নিচে। এ পরিস্থিতিতে যথাযথ মূল্যায়ন না পেয়ে অনেকে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন, আবার কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে, পুনর্গঠন ইস্যুতে কেন্দ্র থেকে বারবার তৃণমূলে নতুন করে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবেরা পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন না- এমন বিধান করেছে হাইকমান্ড। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন্দ্র থেকে দুই ধরনের নির্দেশনা যাচ্ছে। কোনো কোনো জেলা কমিটি গঠনে বলা হয়েছে, শুধু আহ্বায়ক পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ কমিটির শীর্ষ পদে থাকতে পারবেন না, কিন্তু সদস্য সচিব পারবেন। আবার কোথাও বলা হয়েছে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব উভয়ই প্রার্থী হতে পারবেন না।

এসব লেজেগোবরে অবস্থার কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ। তারা মনে করছেন, শুধু পকেট কমিটি করতে দুই জেলার জন্য দুই ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলা কমিটিতে সদস্য সচিব যাকে করা হয়েছে, তাকে স্থানীয় নেতাদের অনেকেই চেনেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আহ্বায়ক কমিটির একজন সদস্য বলেন, এমন অনেককেই কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে, যাদের গত ১৪ বছরের রাজনীতি জীবনে মিছিল-মিটিংয়ে দেখিনি। এমনকি তিনি নেতাকর্মীদের কাছেও পরিচিত নন।

পাবনা জেলা কমিটিতে যে নেতাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে, তিনি কমিটিতে থাকা নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে জুনিয়র। অনেক সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে তাকে পদে আনায় ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। জুনিয়র হিসেবে তাকে এ পদ দেয়ায় আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র নেতারাও ভালোভাবে নিচ্ছেন না।

পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান তোতা বলেন, কমিটি করার ক্ষেত্রে সিনিয়র-জুনিয়র রাখার ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। 

নাটোর জেলার আহ্বায়ক কমিটিতে সবচেয়ে সিনিয়র রাজনীতিবিদ গোলাম মোস্তফা নয়নকে রাখা হয়েছে সর্বশেষ সদস্য হিসেবে, অথচ তার রাজনীতি শুরু হয় জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে নাটোরের বাগাতিপাড়া থানার সভাপতি হিসেবে। অনেকটা অভিমান করে সম্প্রতি তিনি কানাডায় চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক নেতা।

এমন নানা অসঙ্গতিতে পরিপূর্ণ নেত্রকোনা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুরসহ বিএনপির জেলা কমিটিগুলো। অতীতে জেলা কমিটি করার ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে অন্তত দশবার বৈঠক করে তাদের মতামত নিয়ে কমিটি করা হতো। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা যারা থাকেন, তাদেরও মতামত নেয়া হতো। কিন্তু এখন দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনেকেই তা করছেন না। এ কারণেই জেলা কমিটি পুনর্গঠনে তৃণমূল নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন না করার অভিযোগ উঠছে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here