• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ভূরুঙ্গামারীর জনজীবন বিপর্যস্ত

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কয়েক দিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘনকুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডায় মানুষ অনেকটাই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাহির হচ্ছেন না। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ।

অপরদিকে শীতের তীব্রতার কারণে শীতজনিত রোগবালাই বেড়েছে। ভূরুঙ্গামারীতে গত তিন দিন থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। সারা দিন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে ভূরুঙ্গামারীর আকাশ। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। রাতে আরও বেশি তীব্র হচ্ছে কুয়াশা। সারারাত থাকছে তীব্র ঠাণ্ডা। ঘনকুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

ঘনকুয়াশা আর শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে খেটেখাওয়া, ছিন্নমূল ও চরাঞ্চলের মানুষ। তারা কোনোমতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য।

তীব্র শীতে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা অনেকটাই দুর্ভোগে পড়েছেন। চলতি ইরি-বোরো চাষের মৌসুম শুরু হলেও শীতের কারণে ক্ষেতে আমন চারা রোপণ করতে পারছেন না তারা।

বেশ কিছু দিন থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এমন অবস্থা আরও ৩ থেকে ৪ দিন থাকতে পারে বলে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

প্রতিদিন চারশ' টাকা জমায় ভাড়াতে অটো চালান ভূরুঙ্গামারীর ওমর সানী। তিনি জানান, অটো নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি কিন্তু শীতের কারণে যাত্রী পাচ্ছি না। গত দুই দিনে অটো মালিকের জমার টাকা রোজগার করতে পারি নাই। পরিবারের জন্য খাবার কিনতে কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে বহির্বিভাগে শীতজনিত রোগীর প্রচুর ভিড়। জ্বর, সর্দি, কাশি, অ্যাজমা, পাতলা পায়খানাসহ শীতজনিত নানা রোগের চিকিৎসা নিতে আসছেন রোগীরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শীতজনিত রোগবালাই বেড়েছে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, শীতবস্ত্র হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ৪ হাজার ৬০০ কম্বল পাওয়া গেছে, যা ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার দ্বিতীয় ধাপে আরও দুই হাজার কম্বল পাওয়া গেছে, যা আগামী ১-২ দিনের মধ্যে বিতরণ শুরু করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here