• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

তিন সন্তান থাকার পরেও কচুপাতা বিক্রিতে জোটে বৃদ্ধা মায়ের খাবার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

তিন সন্তান থাকার পরেও শেষ বয়সে এসে নিজের খাবারের জোগাড় করতে হচ্ছে নিজেকেই। ৮০ বছরের অসহায় এই বৃদ্ধার নাম শান্তি বানু। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই কেউ খোঁজ রাখে না তার। প্রতিদিনের খাবারের টাকাও হাতে নেই তার। উপায় না পেয়ে রাস্তাঘাটে বেড়ে ওঠা কচুপাতা সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রির মাধ্যমে নিজের খাবারের খরচ জোগাচ্ছেন বৃদ্ধা শান্তি বানু নিজেই।

৮০ বছরের এই বৃদ্ধা থাকেন লালমনিরহাট শহরের অদূরে শহীদ শাহজাহান কলোনির ছোট একটি ঝুপড়ি ঘরে। শান্তি বানু জানান, স্বামী রইছুদ্দিনের ছিল স্বপ্ন, ছিল বুকভরা আশা। ছেলেদের বড় করে মানুষের মত মানুষ করবে। সুখ-শান্তি আসবে তাদের ঘরে। কিন্তু শান্তি বানুর শান্তির স্বপ্ন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর ছেলেরা তার কোন খোঁজই রাখে না।

তিন ছেলে শফিক, সুজন, শাহিনের বিয়ে হয়েছে। নিজেদের সংসার নিয়ে তিন ছেলেই এখন ব্যস্ত। খেয়ে না খেয়ে চলে শান্তি বানুর কষ্টের জীবন। তবুও ভিক্ষা করে না তিনি। শহীদ শাহজাহান কলোনিতে শান্তি বানুর মত রমিচা, গুলজান, আমেনা, রহিতনেরও একই অবস্থা। তাদের প্রত্যেকের জীবনেই আছে আলাদা গল্প, আছে করুণ ইতিহাস।

শান্তি বানুর তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে শফিকের সাথে কথা হয় মুঠোফোনে। তিনি জানালেন, বিয়ে করা পর তাদের সংসারই ঠিকভাবে চলে না, কঠিন অবস্থায় রয়েছেন তার ছেলেমেয়েকে নিয়ে। তিনি বলেন, ‘মায়ের ছেলে কি আমি একা? আরও তো আছে।’ কথাগুলো বলা শেষ হতে না হতেই কল কেটে দেন তিনি।

সরকারের নতুন আইনটি সম্পর্কে শান্তি বানু জানেন। বাবা-মাকে সন্তানদেরা লালন পালন করা বাধ্যতামূলক। না হলে ওই সন্তানকে জেলে যেতে হবে। এই আইনের প্রসঙ্গে কথা বলা হলে শান্তি বানু বলেন, ‘মোক (আমাকে) ভরণ-পোষণ না করুক, তবু বেঠাগুলাক (ছেলেগুলোকে) জেলত দিবো না।’ কথাগুলো বলার সময় শান্তি বানুর চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েছিল।

সারা জীবন শ্রম দিয়ে আর কষ্ট করে সংসার আগলে রেখেছিলেন শান্তি বানু। কিন্তু জীবনে একটু সুখও পাননি। এখন জীবনের শেষ সময়ে এসে এমন অবহেলার শিকার হয়েও ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে বাঁচাতে চান না তিনি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here