ড. ওয়াজেদ মিয়া এক গর্বিত ও আলোকিত মানুষের নামঃ পীরগঞ্জে স্পীকার

পীরগঞ্জের ফতেপুরে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস আয়োজিত অগ্রাধিকারমূলক পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে নলকূপ বিতরণ এর শুভ উদ্বোধনকালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বাঙালি জাতির এক গর্বিত ও আলোকিত মানুষের নাম। তিনি আজীবন মানবতার কল্যাণে কাজ করেছেন।

এ প্রকল্পের আওতায় ৪০৮টি নলকূপ বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন। এর আগে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে এম এ ওয়াজেদ মিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা ও চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহতদের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।

স্পীকার বলেন, নিরাপদ সুপেয় পানি জীবন ধারনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে কারনে সরকার জনগণকে সুপেয় পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকলের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও তিনি উলে­খ করেন।

ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে স্পীকার বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারকে দেখাশুনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংরক্ষণ এবং বিস্তারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। তিনি একজন নির্লোভ, নিরহংকার ও মানবিক গুণাবলিতে উজ্জীবিত পরিশুদ্ধ মানুষ ছিলেন।

ওয়াজেদ মিয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য উত্তরসূরি সজিব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম কারিগর উল্লেখ করে এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে এমএ ওয়াজেদ মিয়ার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে পরিচিত করতে বিজ্ঞান মেলা আয়োজনসহ উদ্ভাবনী কর্মসূচি গ্রহণের জন্য আহবান জানান তিনি। 

রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুকিরিয়া পারভিন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মন্ডল, এমএ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ছায়াদত হোসেন বকুল, রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি এসময় উপস্থিত ছিলেন। পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিএমএ মমিন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।