• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

ঠাকুরগাঁওয়ে ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ৪১টি শিশু, মৃত্যু তিন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

ঠাকুরগাঁওয়ের আধুনিক সদর হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় টাইফয়েড, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জন্ডিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪১টি শিশু ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্য থেকে তিন নবজাতক মারা গেছে।

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের পাশাপাশি ঠাকুরগাঁওয়েও শীত পড়েছে। তবে তীব্রতা বেশি নয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদ থাকছে। বাকি সময়টায় হিমেল হাওয়া বইছে। আর এ শীতে জেলাটিতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে।

হাসপাতালে যে তিন নবজাতক মারা গেছে, তাদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়ন, গড়েয়া ইউনিয়ন ও ভাউলার হাটে।

এদিকে, হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের অভিভাবকের অভিযোগ, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শিশুরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। হাসপাতালটিতে সুচিকিৎসার আশায় ভর্তি করা হলেও সেটা মিলছে না।

বোদা থেকে আসা অভিভাবক রমেশ বলেন, আমার ছেলে সন্তানকে নিয়ে আমি গত তিনদিন ধরে হাসপাতালটিতে ভর্তি আছি। এখন পর্যন্ত একটি বেড পাইনি। হাসপাতালের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। এভাবে বাচ্চারা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এছাড়া আমাদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালে কোনো ওষুধ পাচ্ছি না। আমাদের যদি ওষুধ কেনার সামর্থ্য থাকতো, তাহলে কী আমরা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতাম। টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারব না বিধায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং কষ্ট করে থাকা। টাকা থাকলে তো আমরা ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে বাচ্চাদের চিকিৎসা করাতাম।

অপরদিকে, এই সময়ে শিশু ও বৃদ্ধদের ভারী কাপড় পরতে ও বাইরে বেশি বের না হতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাজান নেওয়াজ বলেন, দুইটি নবজাতক সময় না হওয়ার আগেই জন্ম নেওয়ার কারণে মারা গেছে। আরেকটি নবজাতকের জন্মগত জটিলতা ছিল। হার্টের সমস্যা ও একলেমশিয়ার কারণে তৃতীয় শিশুটি মারা যায়। জন্মের এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যে তিনটি শিশু মারা যায়। এই তিনটি শিশুর মারা যাওয়ার কারণ ঠাণ্ডা নয়। তবে এই সময়ে শিশুদের প্রতি অধিক যত্মশীল হতে হবে, যেন ঠাণ্ডা না লাগে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here