• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

ছাগলের খামার করাই স্বপ্ন ছিল যার!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

নিভৃত পল্লী গ্রামের যুবক মামুন মণ্ডল। বয়স প্রায় ২৫ বছর। ছাগলের খামার করবেন, এরকম স্বপ্ন ছিল ছোটবেলা থেকেই।  এমন স্বপ্ন থেকে প্রাথমিকভাবে ক্রয় করেন একটি ছাগল। আর সেই ছাগল থেকেই জন্ম নেওয়া শতাধিক ছাগলের মালিক এখন ওই যুবক।

অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে এগিয়ে চলা মামুন মণ্ডলের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আরাজী জামালপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুর রশিদ মণ্ডলের ছেলে।


জানা যায়, পিতা-মাতার ইচ্ছে থাকা সত্বেও, তেমন লেখাপড়া করেননি মামুন মণ্ডল। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া মামুন মণ্ডল কিশোর বয়স থেকে কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার বয়স যখন ১৫ তখন থেকেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য স্বপ্ন দেখতে থাকেন। ছাগল পালন করে কিভাবে স্বাবলম্বী হবেন, এমন স্বপ্নের বাস্তব রূপ দিতে ২০১০ সালে স্থানীয় বাদশা মিয়ার নিকট থেকে দেশীয় জাতের একটি ছাগল (২ মাস বয়সের বাচ্চা) ক্রয় করে। এরপর সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এ ছাগলটিকে যত্ন সহকারে প্রতিপালন শুরু করে মামুন। ছাগলটির প্রজনন নেওয়ার ৫ মাস পরই একই সঙ্গে ৪টি বাচ্চা দেয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মামুনের ছাগলের সংখ্যা। এতে করে ইচ্ছেশক্তি আরো অনেকটাই বেড়ে যায় মামুনের।

এরই ধারাবাহিকতায় এখন শতাধিক ছাগলের মালিক মামুন । মামুনের খামারে এখন দুগ্ধজাতের ১৭টি ছাগল রয়েছে । বর্তমানে এ খামারের ছাগল বিক্রি করে বার্ষিক লক্ষাধিক টাকা লাভের মুখ দেখেছেন মামুন মণ্ডল।


ছাগল পালন সম্পর্কে মামুন মণ্ডল বলেন, একটি বাচ্চা জন্মের ৬ মাসের মধ্যে গর্ভবতী হয়। ভালো জাতের ছাগল হলে প্রজনন দেওয়ার পর প্রতিটি ছাগল একই সঙ্গে ২ থেকে ৪টি করে বাচ্চা দেয়। প্রতিটি ছাগলের খাবার হিসেবে ঘাস, ভুসি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৩ হাজার টাকা। খামার থেকে বছরে প্রায় ১২ থেকে ১৫টি ছাগল বিক্রি করা হয়ে থাকে।

মামুন মণ্ডল আরও বলেন, কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে ছাগল পালন করে আসছি। এটি খুবই লাভজনক ব্যবসা। যা থেকে সহজেই স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা ও মোটা অঙ্কের পুঁজি নিয়ে খামারটি প্রসারিত করতে পারলে আরও লাভবান হওয়া যেত।

সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক বলেন, সম্প্রতি মামুন মণ্ডলের খামার পরিদর্শন করে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উন্নত পদ্ধতিতে ছাগল পালনের জন্য একটি সেড ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে তাকে। কেউ যদি উন্নত জাতের ছাগলের খামার করে, সেটি অবশ্যই অধিক লাভজনক হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here