• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

চুরি হওয়ার ৫ দিন পর নবজাতককে উদ্ধার করছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়ার ৫ দিন পর নবজাতককে উদ্ধার করছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে শিশুটিকে উদ্ধারের পর মায়ের কোলে তুলে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ কমিশনার অভিযানকারী ডিবি সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন।

রোববার দুপুরে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এক নারীকে গ্রেফতার করেছে।

রোববার বিকালে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

পুলিশ কমিশনার জানান, ১০ অক্টোবর ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গাইনি বিভাগ থেকে ওই নবজাতককে চুরি করেন লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাগুড়ি এলাকার ফারুক মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন সুলতানা মুন্নি (৩২)। পরে হাসপাতাল সংলগ্ন পরমাণু গবেষণা ইন্সটিটিউট সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ভবনে আত্মগোপন করেছিলেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্নি পুলিশকে জানায়, তিনি নবজাতককে সন্তানের মত লালন পালনের উদ্দেশ্যে চুরি করেছিলেন। তার আগের স্বামীর একটি সন্তান রয়েছে। হাসপাতালের ক্যাম্পাস সংলগ্ন পরিত্যক্ত একটি ভবনে মুন্নির এক আত্মীয় থাকতো। আত্মীয়ের কাছে থাকার সুবাদে তার হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত ছিল।

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাড়িরঝাড়া গ্রামের পরশ চন্দ্রের স্ত্রী সুধারানী গত মঙ্গলবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই রাতে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয় সুধা রানী।

বুধবার সকালে স্বজনরা নবজাতককে মুন্নির কোলে দিয়ে বাথরুমে গেলে এর এক ফাঁকে তিনি বাচ্চাটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরশ চন্দ্র ও তার আত্মীয় স্বজন বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানান। হাসপাতালের পরিচালক অভিযোগটি কোতয়ালী থানায় নথিভুক্ত করার জন্য পাঠিয়ে দেন।

পরে এ বিষয়ে নবজাতকের নানা সন্তোষ কুমার বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। তারা বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানোর পর শেষে হাসপাতালের ক্যাম্পাস থেকেই নবজাতককে উদ্ধার করেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here